পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব । > e { হিন্দুসন্তানমাত্রে, কি ভিতরে কি বাহিরে, সৰ্ব্বত্র সর্বপ্রকারে প্রথমকালে একজাতি ছিলেন । গ্রীকের তদ্বিপরীতে প্রথমকাল হইতেই প্রদেশভেদে সম্পূর্ণ বিভিন্ন জাতিস্বরূপ হইয়াছিল। আবার গ্রীকের ষখন একজাতিত্বরূপ আকার ধারণ করিল, তখনও চির-প্রবুদ্ধ স্বাতন্ত্র্যভাব তাঁহাদের অন্তরে অন্তরে বিরাজ করিতে লাগিল । কিন্তু কালে ভারতীয়েরা বংশবাহুল্যে, যদিও বিভিন্ন প্রদেশ অধিবেশন ও বিভিন্ন রাজ্যস্থাপন পূৰ্ব্বক যেন স্বতন্ত্রত অবলম্বন করিয়া বাস করিতে লাগিলেন বটে, তথাপি চিরপ্রবুদ্ধ একত্তাভাবের তাহারের হৃদয় হইতে অপলোপ হইল না । একতা অবশ্যই সৰ্ব্বকালে ও সৰ্ব্ব বস্থায় সৰ্ব্বাগ্রে প্রার্থনীয় ; কিন্তু তাহার অভ্যন্তরে যদি স্বাবলম্বনরূপী ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্যের সামঞ্জস্ত না থাকে, তবে সে একতা বড় একটা কাৰ্য্যকরী হয় না । উহা মেষপালের একতা ; একটা মেঘ যদি কোন স্থানে খেয়ালবশে একটা লাফ দিল, আর গুলিও অমনি সেইরূপ ল{ফ দিতে লাগিল । ইহাকে অন্ধ একতা বলে। আবশ্বক, সজ্ঞান একতার । গ্রীকদিগের ৰে ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্যভাব ভাবী গৌরবের সোপানস্বরূপ, ভারতীয়ের সে স্বাতন্ত্র্যভাব প্রাপ্ত হইলেন না। অহঙ্কারবোধে ও ইহারা অতি হীনতা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন,—যেহেতু এতদ্বোধের প্রথম বাধকতা বাহ্যজগতের নিকট আত্মথৰ্ব্বত জ্ঞান ; দ্বিতীয় রাধকতা, পূর্বকথিত ব্যক্তিগতু স্বতন্ত্র্যভাবের অভাব। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, গ্রীসের ভূমি উর্বরতাগুণে সৰ্ব্বত্র সমান নহে। কোন হানে প্রয়োজনীয় জীবনোপায় বস্তুসমূহ অপরিমিতভাৰে উৎপন্ন হয়, কোথাও বা একেবারে বা প্রায়ই কিছু হয় না । গ্রীসের ষে সকল ভূমিখণ্ডকে উর্বরতাগুণবিশিষ্ট বলিয়া বলা যায়, সে সকলকে ভারতীয় ভূখণ্ডের তুলনায় আনলে, তাহদের উর্বরতাগুণকে