পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S গ্রীক ও হিন্দু । • כי অনুৰ্ব্বরতার মধ্যে গণ্য করিতে হয়। অতএব ভূমির উর্বরতাগুণ উপলব্ধ ও তাহা হইতে ফলাকর্ষণ করিতে, ভারতীয়দের অপেক্ষা গ্রীকদিগকে, বহুবুদ্ধি ও বহুশ্রম ব্যয় ও বহুকাল অতিবাহিত করিতে হইয়াছিল। এরূপ করিতে বাধ্য হওয়ার ফলও, দ্বিবিধ প্রকারে ফলিতে দেখা যায়। প্রথমতঃ, বহুবুদ্ধি ও বহুশ্রম ব্যয়-স্থত্রে, তৎপক্ষে কারণশুন্য ভারতীয়দের অপেক্ষ,গ্ৰীকদিগের সাংসারিক বিষয়ে উদ্ভাবনী শক্তি ও শ্রমসহিষ্ণুতা, এতদুভয় গুণ দৃঢ়তা প্রাপ্ত হইয়াছিল। দ্বিতীয়তঃ, বহুকাল অতিবাহিত করিবার ফলে, গ্রীকদিগের অবসর, অবসর-উৎপন্ন চিন্তা, চিন্তাজাত উদ্ভাবনী শক্তি এবং তজ্জনিত সভ্যতা, সুতরাং ভারতীয়দের অপেক্ষা বহুকাল পরে উদিত ও বৰ্দ্ধিত হয়। সে যাহা হউক, ভূমির প্রোক্ত উর্বরতাগুণ যাহা কিছু তাহ নিকৃষ্ট হউক আর উৎকৃষ্টই হউক, গ্রীসের সর্বপ্রদেশে সম বা যথেষ্ট পরিমাণে না থাকায় ; প্রত্যেক প্রাদেশিকদলকে যদি কেবল আপন আপন প্রাদেশিক উৎপাদিক শক্তির উপর নির্ভর করিয়া থাকিতে হইত, তাহা হইলে অনেকের অনাহারে মরিবার কথা। ঐ দিকে এই, অন্য দিকে শীতপ্রধান দেশের প্রয়োজনীয় পদার্থদি স্বভাবতঃ গ্রীষ্মপ্রধান দেশের ন্যায় সামান্তমূল্য সামান্তাকার ও সহজসাধ্য নহে। এমন অবস্থায় স্ব স্ব দেশজাত ৰে কোন বাঞ্ছনীয় বস্তুর সহ, প্রদেশপরম্পরায় পরস্পর বিনিময় ও বাণিজ্য ব্যতীত, একের আহারবিষয়ক অভাব ; অপরের তদুতিরিক্ত অপরাপর আবশ্বকীয় বস্তুর অভাব ; উভয়তঃ এতদুভয় অভাব নিবারণ না হওয়ায় সকলের সমভাবে জীবিক নিৰ্ব্বাহ হইতে পারে না। এই নিমিত্ত, একের মনুষোচিত ক্ষুৎপিপাসা নিবারণ, অপরের বিলাসবিষয়ক আকাঙ্ক্ষা পূরণ, প্রদেশভেদে এতদ্রুপ প্রয়োজনভেদের প্রথম উদ্রেকে,—অর্থাৎ সভ্যতাস্থৰ্য্যের উদয়কালেই বলিতে হুইবে,—গ্রীকেরা