পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। و& এ জগতে বহুবিধ মহামহোপাধ্যায় সময়ে সময়ে অবতীর্ণ হইয়া, এবং এ বিষয়ের যথাশক্তি ও যথাবুদ্ধি মীমাংসা করিয়া, স্বীয় স্বীয় মীমাংসাকে অবশুগ্রহণীয় সত্যজ্ঞানে, তাহ মানবগণকে গ্রহণজন্ত শিক্ষা দিয়া গিয়াছেন । দেশভেদে, কালভেদে, জাতিভেদে, বিবিধ জ্ঞান ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদিতে, সেই সকল মীমাংসা সঞ্চিত হইয়া রহিয়াছে ; তদীয় শিষ্যগণ, সে সকলকে স্বয়ং ঈশ্বরকৃত মীমাংসাজ্ঞানে, আজি পৰ্য্যন্ত এ জগতে প্রচার করিয়া ফিরিতেছে । কিন্তু অতি আশ্চৰ্য্য বিষয় এই যে, এত মীমাংসার মধ্যে একটি মীমাংসাও, আজি পৰ্য্যন্ত জনসমাজ, সৰ্ব্বাস্তঃকরণের সহিত গ্ৰহণান্তর তাহতেই আবহমান কাল শাস্ত ও সস্তুষ্ট ও নবানুসন্ধানকার্য্যে নিবৃত্ত থাকিতে পারিল না । কেমন করিয়াই বা পারিবে ? অনন্ত আবৰ্ত্তনশীল কালচক্রের নেমি বাহিয়া যাহাঁদের স্থিতি, তাঙ্গদের ত সেরূপ নিবৃত্ত হইয়া থাকিবার কথা নহে! কাল স্ববেগে বেগবান, এবং নিরন্তর স্বীয় প্রবাহায়তনগত সমস্ত পদার্থকে তাড়না করিয়া ছুটাইয়া লইয়া যাইতেছে। কালতাড়নায় এরূপ তাড়িত হওয়াই পদার্থত্বের পরিচয়, অন্যথা বিলোপোয়ুখ অপদার্থতা ;–কাল সহ গতিসমত্ব রক্ষার নাম উন্নতি, তদন্ততরে অবনতি। আমরা দেখিতেছি, যে কোন কৃতমীমাংস হউক না কেন, তাহ আচল ; কিন্তু মানবীয় প্রকৃতি এবং ধারণাশক্তি সচল, সুতরাং কিরূপে তাহ শান্ত রহিয়া নবানুসন্ধান হইতে নিবৃত্ত থাকিবে ? কিন্তু তাহ বলিয়া ইহাও মনে ভাবিও না যে, মীমাংসাপ্রচারকগণ মিথ্যাবাদী, অথবা জ্ঞানপূর্বক আপন আপন মিথ্যাধৰ্ম্ম এবং মতাদি প্রচার দ্বারা লোকমণ্ডলীর উপর ভ্রাস্তিকৌতুক এবং জুয়াচুরী চালাইয়া গিয়াছেন । র্তাহারাও স্ব স্ব জ্ঞান-সীমান্তমধ্যে যথাসম্ভব সত্য প্রচার করিয়া গিয়াছেন ; তাহাদিগেরও প্রবর্তিত ধৰ্ম্ম, মত, মীমাংসাদি,