পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^ ఆ গ্ৰীক ও হিন্দু । একটা অতি প্রধান অঙ্গ বটে । ধৰ্ম্মতত্ত্ব বা মানবীয় যে কোন তত্ত্ব নিরূপণের পূৰ্ব্বে, আগে দেখা উচিত যে, মনুষ্যজীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য কি ; তাহ স্থির হইলে তৎসহ অন্বয় ও ব্যতিরেকে আর সমস্ত বিষয়ের অবধারণা সহজ হইয়া আইসে । কি আপ্তবাক্য কি যুক্তিমাৰ্গ উভয়তঃ আমরা দেখিতে পাই, মনুষ্যজীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য কৰ্ম্ম । ভাল, যদি তাহাই হইল, তবে এখন কৰ্ম্মান্বয়ে আর সমস্ত বিষয় আলোচনা ও অবধারণা কর, অতি সহজে সফলতা লাভ করিতে পারিবে । কারণ, মুখ্য পদার্থ যাহা, আর সমস্ত তাহারই উৎস, উপায়, উপকরণ, সমবায়ী কারণ ইত্যাদি নানা আকারে অবস্থান করিয়া থাকে । মানবের আত্মিক জীবনের সমষ্টিরূপ যাহা,—মানবের কৰ্ম্মজীবন যাহার অক্ষুন্ন অবিকল প্রতিবিম্বস্বরূপ ; যাহার প্রভাবে কি কৰ্ম্মবিশেষ কি কৰ্ম্মসমষ্টিপ্রবাহ উভয়ই কল্পিত ; যাহার প্রভাবে তদুভয় নিয়মিত এবং যাহার উত্তেজনায় তদুভয়ই অনুষ্ঠিত ও কৃত হয়, তাহাকে মানুষের ধৰ্ম্মজীবন বলা যায়। এই ধৰ্ম্মজীবন যে সকল কারণ ও উপকরণ যোগে গঠিত হইয়া থাকে, তাহদের যে সমষ্টি, তাহাকেই ধৰ্ম্ম বলা যায় ; নিম্নে তাহ আরও স্পষ্ট করিয়া বলা হইতেছে । কিন্তু অগ্রে বিচাৰ্য্য, সে সকল কারণ ও উপকরণ কি কি ? মানবের আত্মিকজীবন বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায় যে, তাহার যে অংশ প্রভাবে, কি কৰ্ম্মবিশেষ কি কৰ্ম্মসমষ্টিপ্রবাহ, উভয়ই ধারণাযোগে উদ্ভাসিত হয়, তাহা জ্ঞান ; এবং যে অংশের দ্বারা তদুভয় নিয়মিত হয়, তাহা নীতি ; এবং যে অংশের দ্বারা অনুষ্ঠিত ও কৃত হয়, তাহ প্রকৃতি । এই জ্ঞান প্রকৃতি ও নীতি, এতন্ত্ৰয়ের সামঞ্জস্ত সম্মিলিত সমষ্টিমূৰ্ত্তি যাহা, তাঁহাই ভাবরূপে মামুষের আত্মিক বা ধৰ্ম্ম