পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ミbア গ্রীক ও হিন্দু। হওয়া ও তাহাঁকে অবলম্বন করা যাইতে পারে না । জ্ঞানে সং অসৎ উভয় ভাবেরই অবস্থান হেতু, জ্ঞান হইতে ষে কৰ্ম্মধারণা, তাহাও সৎ অসৎ উভয় প্রকারের হইয়া থাকে। জ্ঞান দ্বিবিধ, এক সাংসারিক, অপর পারলৌকিক । আধি- , ভৌতিক সংসারে যে কিছু পদার্থবোধ, তাহাকে সাংসারিক জ্ঞান বলা । যায় । সাংসারিক জ্ঞানের জ্ঞাতব্য বিষয়, ভৌতিক জগৎ সহ আমাদের সম্বন্ধ কি এবং ভূতগ্রাম বা কি হিসাবে ও কি পরিমাণে আমাদের ও আমরা বা কি হিসাবে ও কি পরিমাণে ভূতগ্রামের অধীন ও প্রয়োজনপূরক হই। এতদ্বিষয়ে জ্ঞাতব্য সমস্তকে, সংসারতত্ত্ব নামেও অভিহিত করিতে পারা যায়। সাংসারিক জ্ঞানের উৎকর্ষ বা অপকর্ষভাব, মানবের সাংসারিক শ্ৰী, সৌভাগ্য ও অভু্যদয় বিষয়ে, উন্নতি বা অবনতিকারক হয়। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিতাদি ধৰ্ম্মশাস্ত্রেতর যাবতীয় বিষ্ঠা, সাংসারিক জ্ঞানের অন্তর্গত । মানবের আধ্যাত্মিক বা পারলৌকিক প্রয়োজনে যে কিছু পদার্থবোধের আবশ্বক, তাঙ্গকে পারলৌকিক জ্ঞান বলা যায়। স্রষ্টাস্বরূপে যিনি অনুষ্টশক্তিবিশিষ্ট অদৃষ্ট পুরুষ, তিনি বা তৎস্থানীয়গণ, তদীয় বিভূতি, তৎসহ আমাদের সম্বন্ধ, পরলোকে আমাদের পরিণাম এবং সে সমস্তের অন্বয়ে ইহলোকে আমাদের অনুষ্ঠান ও আচরণ ; এই সকল পারলৌকিক জ্ঞানের জ্ঞাতব্য –এক কথায়, এ সকলকে দেবতত্ত্ব নামে আখ্যাত করিতে পারা যায়। পারলৌকিক জ্ঞানের উৎকর্ষ অনুসারে, মানুষের মনুষ্যত্ত্ব, আধ্যাত্মিক শ্রী ও পরিণামাদি, উন্নতি বা অবনতি প্রাপ্ত হইয় থাকে। ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদি পারলৌকিক জ্ঞানের অন্তর্গত । সাংসারিক জ্ঞান ও পারলৌকিক জ্ঞান, উভয়ে যখন সৎ-ভাবাপন্ন তথন স্বীয় স্বীয় এবং উভয়তঃ শ্ৰীসাধনের নিমিত্ত, উভয় উভয়ের