পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব ১২৯ সাপেক্ষতাযুক্ত হয় । অসৎ-ভাবাপন্ন হইলেই সাপেক্ষতাত্যাগী হইয়া থাকে এবং একটী অসৎ-ভাবাপন্ন হইলে, অপরটাও সাপেক্ষতাবিরহে, নিতান্ত অসৎ-ভাব না হউক, অন্ততঃ যথেষ্ট পরিমাণে মলিনতা প্রাপ্ত হইয়া থাকে। সাংসারিক জ্ঞানকে আধিভৌতিক এবং পারলৌকিক জ্ঞানকে আধ্যাত্মিক নামেও অভিহিত করা যাইতে পারে। মনুষ্য উন্নতিপৰ্ব্বে যেমন পৰ্য্যায়েতেই অবস্থান করুক, জ্ঞান, প্রকৃতি ও নীতি অথবা এক কথায় ধৰ্ম্ম ছাড়া কখনও থকিতে পরে না । কিন্তু মনুষ্যসমাজের উৎপত্তিসময় হইতেই যে, কি অবিশ্লেষিত-মূৰ্ত্তি ধৰ্ম্ম, কি বিশ্লেষিত-মূৰ্ত্তি জ্ঞানাদি, তাহদের সম্যক পরিপুষ্টতা সহ, মন্তস্যের চিত্তক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়া থাকে বা হইতে পারে তাহী নহে। জ্ঞান যখন দাবতীয় পদার্থ হইতেই আকৰ্ষিতব্য, তখন পদার্থ অনন্ত হেতু, জ্ঞানায়াতনও অবহু অনন্ত । অতএব মানব কখনও জ্ঞানের চূড়ান্ত পরিপুষ্টত দেখিতে পাইবে কি না, তাহা সন্দেহ । জ্ঞানামুসারিণী নীতি সম্বন্ধে ও সুতরাং সেই কথা এবং তদুভয় অনুসারিণী প্রকৃতি সম্বন্ধেও অবশ্য সেই একই কথা । মানবীয় চিত্তের ক্রমোৎকর্ষ সহ, জ্ঞানও কি আধ্যাত্মিক কি আধিভৌতিক, উভয় মুখেই তিল তিল করিয়া সমানপদে পুষ্টতা প্রাপ্ত হইয়া আসিতেছে । মানবের আদিম বস্তাবস্থা সহ বর্তমান সভ্যাবস্থার তুলনা করিলে, দেখিতে পাওয়া যাইবে যে, সংসারতত্ত্ব কি সামান্ত বীজ হইতে, মানবের ক্রমোত্তর চিত্তোৎকর্ষ সহ পৰ্ব্বে পর্বে পুষ্টত পাইয়া শেষে এখন কি মহাবৃক্ষে আসিয়াই পরিণত হইয়াছে, এবং উত্তর কালে না জানি আরও কি হইবে । দেবতত্ত্ব সম্বন্ধেও সেই একই কথা । অতএব আদিম জঘন্ত ভূতোপাসনা হইতে বর্তমানকালিক দেবতত্ত্ব পর্য্যন্ত, ভূতপ্রেত উপাসনা আদি যে সকল