পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । )\రి( জ্ঞানোৎকর্ষ অনুরূপ এমন কৰ্ম্মের শিক্ষা দেয়, যদ্বারা ঈশ্বরের প্রীতিলাভ করিতে পারা যায় । ধৰ্ম্মের বিরোধী ভাব অধৰ্ম্ম এবং ধৰ্ম্মের অপব্যবহার ও ব্যবহারধিক্য অপধৰ্ম্ম । উহার ষে যে কারণে সঞ্চারিত হইয়া থাকে, তাহার মধ্যে এই কয়টি প্রধান,--সামঞ্জস্যচত থগুজ্ঞান, অসংজ্ঞান, অসংনীতি, অসৎ প্রকৃতি, অসং সঙ্গ, অসৎ শিক্ষা ইত্যাদি । আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষাপ্রণালী অত্যন্ত দূষিত ; তাহাতে সামঞ্জস্তচু্যত পণ্ডজ্ঞান ও খগুনীতির মাত্র শিক্ষা তষ্টয় থাকে এবং তাঁহার ফলও প্রত্যক্ষ দেখিতে পাওয়া যাইতেছে । অধুনাতন শিক্ষিতদিগের মধ্যে কি ধৰ্ম্মজীবন, কি কৰ্ম্মজীবন, টভন্ট অতি ছন্ন ও শোচনীয়। পূৰ্ব্বে ললিয়াছি এবং এখনও বলিতেছি, সাংসাবিক ও পারলৌকিক উভয়বিধ জ্ঞান ৭ উভয়বিধ নীতির সংমিলন শিক্ষণ ভিন্ন, জ্ঞান ও নীতি এবং তদন্বয়ে প্রকৃতিও, কখনও সম্পর্ণ ও স্বীকতা প্রাপ্ত হয় না এবং তাঙ্গ ন হইলে স্বকৰ্ম্মশীলতার4 অত্যন্ত অভাব দৃষ্ট হয় । স্বকৰ্ম্মশীলতা ভিন্ন, সমাজ ও কথন উন্নতি লাভ করে মা ; বরং তদ্বিপরীতে উচ্ছেদ প্রাপ্ত হয় । আমাদের এষ্ট স্বার্থবান লাকপূর্ণ সমাজে সুকৰ্ম্মশীলতা কোথায় ? অতঃপর উভয় জাতীয় ধৰ্ম্মবিদ্যাব আলোচনা করা যাউক । ১ । জাতীয় ধৰ্ম্মবিদ্যা । আমি এক্ষণে উভয় জাতির ধৰ্ম্মস্কি" অ লোচনা করিতে চলিয়াছি, কিন্তু সম্মুগেই উভয় জাতির জ তীয় ধৰ্ম্ম িদ্য তুলনায় কি দুরন্ত পার্থক্য সমুপস্থিত । হিন্দুদিগের ধর্শ্ববিদ্যা এক fশাল ও দিগন্তব্যাপী মহাবৃক্ষস্বরূপ ; আর গ্রীকদিগের ধৰ্ম্মৰিষ্ঠ তাঙ্গর তুলনায় এক ক্ষুদ্র-গুল্মবিশেষ।