পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । S 8% তাহাঁদের রচয়িত নহে –গ্রন্থোক্ত বিষয় সকল বস্তুতঃ ঈশ্বরবাক্য, কেবল সেই সকল ঋষির মুখ দিয়া প্রচারিত হইয়াছে এইমাত্র সম্বন্ধ। ধৰ্ম্মবিদ্যার উৎপত্তিতত্ত্ব যেরূপ আলোচিত হইল, তাহাতেই প্রতীত হইবে যে, ধৰ্ম্মবিষ্ঠা সম্বন্ধে কোন জাতির ধারণা ও বুদ্ধি কতদূর উচ্চ বা তদন্ততর ; ধর্শ্ববিদ্যায় স্থিরতা বা অস্থিরতা কাহার কত এবং তদার কোন জাতির প্রকৃতি কিরূপ পরিচিত হইতেছে। নৈতিক বা আধ্যাত্মিক জীবন, সংসারমুখমুগ্ধ বৈষয়িক বা আধিভৌতিক জীবনসহ সংমিলনেই কাৰ্য্য করিয়া থাকে ; তদুভয়ের সন্মিলন একেবারে কখনও বিচ্ছিন্ন করিতে পারা যায় না । তবে কি না জীবনকার্য্যে উহারই মধ্যে যাহার আধিক্য, তাঁহারই প্রাধান্ত প্রতিফলিত এবং ঘোষিত হয়। এ হিসাবে হিন্দুজীবনের প্রতি লক্ষ্য করিলে, দেপিতে পাওয়া যায় যে, তথায় আধ্যাত্মিক জীবনের প্রাধান্ত । আর গ্রীকজীবনে ? তদ্রপ আধিভৌতিক জীবনের প্রাধান্ত। হিন্দুগণ আধ্যাত্মিকতার জন্য অনেক পরিত্যাগ করিয়াছিল এবং করিতে পাৰিত ; গ্ৰীক তাহ করে নাই এবং করিতে পারিতও না। গ্রীকদিগের মধ্যে, হিন্দু ঋষি এবং বেদগাহকস্থলীয় যাহারা, হিন্দু হয়ত তাহাদের অনুষ্ঠানচরিত ও কথা সকল শুনিয়া হাসিয়াই আকুল হইবে এবং হাসিয়াও ছিল একদিন -দূরকালিক ঐতিহাসিকটুকরা সকলে সে হাসির কিছু কিছু পরিচয় এখনও না পাওয়া যায়, এমন নহে । যাহা হউক, অতঃপর জাতিদ্বয়ের জাতীয় ধৰ্ম্মবিস্তা সংসারে আদিপ্রবেশ বিষয়ক একটু তত্ত্বালোচনায় প্রবৃত্ত হওয়া যাউক । , মানবের মনুষ্যত্ব প্রধানত: নীতি হইতে । নীতির সঞ্চারে আধ্যা ত্মিক জীবনের সঞ্চার, এবং নীতির পরিবদ্ধনে আধ্যাত্মিক জীবনের: পরিবর্দ্ধন । ইহাদের এক অপরকে অবিচ্ছিন্ন ভাবে অনুসরণ করিয়া