পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8२ & গ্রীক ও হিন্দু । থাকে। আধ্যাত্মিক জীবনের পরিবর্ধনে মনুষ্যত্বের উপস্থিতি হইয়া থাকে। পশু এবং মানব, এতদুভয়ের সমভোগ্য সাধারণ আধিভৌতিক জীবনের উপর অধিকন্তু ভাবে, এই আধ্যাত্মিক জীবনের উপস্থাপন হেতুই, আধিভৌতিক-জীবনভোগী পশু হইতে, মানবীয় জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব । মানবজীবনের একমাত্র সুমহান এবং মুখ্য উদ্দেশু ষে কৰ্ম্ম এই নীতিই কৰ্ত্তবাবুদ্ধিরূপে তাহার প্রবর্তক এবং বিধিরূপে তাহার নিয়ামক। নীতির উৎপত্তি ধৰ্ম্ম হইতে এবং ধর্শ্বের উহা এক মুখ্য সহচর ও ধৰ্ম্মাংশ স্বরূপ। এই পৃথিবীতলে যে যে স্থলে মনুষ্য -বলিয়া জীবের সঞ্চার আছে, তথায়ই, যে কোন আকারে হউক, ধর্মের অস্তিত্ব দেখিতে পাইবে । দত্ৰিজফর আদি বহুতর পরিব্রাজক কহিয়া থাকে, তাহার এই জগতে আবিপোণ আদি এমন অনেক জাতি দেথিয়াছে যে, যাহাঁদের কোনরূপ ধৰ্ম্মতত্ত্ব নাই । সে কথা শুনিও না । তাহারা যে ধৰ্ম্মতত্ত্বের অভাব দেখিয়া সেরূপ রটন করিয়া থাকে, তাহ সেই তাহাদিগের আপন আপন ধারণার বিষয়ীভূত ধৰ্ম্মের। নতুবা, আমি যতদূর জ্ঞাত আছি, আজি পৰ্য্যন্ত এমন কথা কেহ আসিয়া শুনাইতে পারে নাই যে, যথায় মানবজীবনের কোন না কোন প্রকার লোকাতীত শক্তির প্রতি বিশ্বাস, বিশ্বাসে নির্ভরতা, এবং নির্ভরতার ভাবানুরূপ নীতির অভাব দৃষ্ট হয়। তবে এ কথা সত্য বটে যে, বিভিন্ন ব্যক্তি এবং বিভিন্ন জাতিবিশেষে, পালনীয় ধর্মের আকার প্রকার, হীনতা বা উৎকর্ষভাব, গভীরতা ও প্রশস্ততা, ইত্যাদি বিষয়ে বহুতর প্রভেদ লক্ষিত হয়। কিন্তু সে যতই হউক ও সেট সেই ধৰ্ম্ম ষে প্রকারেরই থাকুক, তাহ যে তত্ত্বৎ ব্যক্তি এবং জাতির জ্ঞানজীবন, জীবনের উদ্দেশুভূত পালনীয় কৰ্ম্ম, কৰ্ম্মক্ষমতা, জীবনের সুখ দুঃখ এবং শুভাশুভ বোধ, ইত্যাদির