পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 88 গ্রীক ও হিন্দু । যেখানে দাবানলে দহিঙ, মানুষ যেখানে প্রাকৃতিক বিঘটনে মরিত ; প্রকৃতি সেখানে সে সকলের পরিবর্তে অজ্ঞ নরাকার নিমিত্তবিশেষ প্রয়োগ করিলেন, এইমাত্র প্রভেদ । ধারণার সীমা পর্য্যন্তেই আধ্যাত্মিক জবাবদিহিতা এবং ধৰ্ম্মধারণার বিকাশ ৷ অতএব অজ্ঞদিগের পক্ষে আপাততঃ যে পৰ্য্যন্ত হইলে তাহাদিগকে জীবিত রাথিয়া কৰ্ম্মংসারের যে কৰ্ম্মটুকু তাহদের দ্বারা লওয়ার আবশ্বক তাহা স্বচ্ছন্দে লওয়া সইতে পারে, তাহার পরিমাণ অনুরূপ সে পৰ্য্যন্ত ধৰ্ম্মবুদ্ধি ঈশ্বর তাহাদিগকে প্রদান করিয়াছেন । তাহার অতিরিক্ত যে সকল কাৰ্য্য, সময়ে তাহার নিমিত্ত উন্নত ধৰ্ম্মবুদ্ধি ও সময়ে তাহা নিরূপিত ও নিয়ন্ত্রিত হইবে । ফলাফলের যথায় সীমা নাই, গতি যথায় অনন্ত, তখন অসংনিরাকরণ ও কৰ্ম্ম হরণ-পূরণ জন্য এত চিন্তা কি ? গতি উদ্ধমুখে ; অপকৰ্ম্ম সকল প্রায়শ্চিত্ত সহ ক্রমে বিলীন হইয়া যায়। আরও একটা কথা, যদি সকলেরই শেষ এইখানে হইত, তাহা হইলেও না হয় একদিন তোমার কথা শুনিতাম ও তোমার কথা লইয়া ভাবিতাম । কিন্তু তাহী নহে। বাঞ্ছারাম, এক্ষণে তোমার সম্বন্ধে এই বলি যে, অষ্ঠের কিরূপ ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মের ধারণা তাহা লইয়া তোমার কার্য্য নহে ; তুমি তোমার মনীষাশক্তির উদ্ধতম চালনে বা অন্যের প্রদশনে আপনার মনে কতদূর ধারণা করিতে পারিয়া থাক, তাহ লইয়া তোমার কার্য্য। সেই ধারণ মত সত্ত্বিক ভাবে কাৰ্য্য করিও, প্রচুর হইবে । অসভ্যদিগের একটি বড় গুণ, তাহা তোমাতে কিন্তু বড় একটা দেখিতে পাই না ;–ভালয় হউক মন্দয় হউক, অসত্ত্বিক ভাব কাহাকে বলে, তাহা তাহারা জানে না। যাহা করে, তাহাই পূর্ণচিত্তে ও যথাস্বভাবে । তুমি তাহ পার না ? ছিছি ! তোমার বুদ্ধি ও হিতাহিত বোধের আধিক্য হেতু শেষে বাশবনে ডোম কাণা, হইয়া গিয়াছে ?