পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । እ» 8 ዓ গত্যন্তর নাই। এ জগতে যে কেহ হাজার নাস্তিক বা কুকৰ্ম্মশীল হউক, যতক্ষণ দেখিবে সে জীবিত রহিয়া চলিয়া ফিরিয়া বেড়াইতেছে, ততক্ষণ জানিও, সে দেখিতে পাউক বা না পাউক, অথবা তুমিই দেখিতে পাও বা না পাও, ধৰ্ম্ম তাঁহাকে একেবারে পরিত্যাগ করিয়া যায় নাই। সে দগ্ধ অঙ্গার, অঙ্গারেও অগ্নি কিছু কিছু সুপ্তভাবে থাকেন। তবে কথা এই, সেরূপ ধৰ্ম্মে বা সেরূপ কৰ্ম্মে জীবনের উদ্দেশু সফল বলিতে পারা যায় না । সমুদ্র ছেচিবার জন্য যাহাকে শক্তি প্রদান করা হইয়াছে, সে যদি গোস্পদ ছেচিয়া পৰ্য্যাপ্ত জ্ঞান করে, তাহাকে লোকতঃ অলোকতঃ কোন রকমেই শক্তির সার্থকতা বলা যায় না। অসভ্য মানব যে, সে শ্রেষ্ঠ বুদ্ধির অভাবে তাহার সেই সামান্ত বুদ্ধি প্রাণপণে পরিচালিত করিয়াই, শ্রেষ্ঠের অপেক্ষা c८छे झ्म्न । ধৰ্ম্মবুদ্ধি মানবের আভ্যন্তরীণ পদার্থ, বহির্জগতের সহিত সংস্রবে রূপ প্রাপ্ত হয় । বহির্জগৎ যখন অন্তর্জগৎ সহ আসিয়া একমিল এবং একাঙ্গ হইয়া যায়, তখনই এই রূপের সঞ্চার হইয়া থাকে। এই রূপের প্রতিপ্রসবে কৰ্ম্ম । রূপের পরিমাণ ও প্রকৃতি আদি, কথিত উভয় জগতের মিলনের পরিমাণ ও প্রকার অনুসারে সমুদ্ভূত হইয় থাকে। যতক্ষণ না অন্তর্জগৎ বহির্জগতের সহিত মিলিত হইবে, ততক্ষণ অন্তর্জগৎ বা আত্মিক জীবন দৃষ্টি-শূন্ত। এই মিলনের প্রথম সংঘটনে জ্ঞানচক্ষুঃ উন্মিলিত হয়, এবং ভাবী গুরুতর মিলনের জন্ত বহির্জগতস্থ বিষয় সংগ্রহার্থে দৃষ্টি প্রসারিত হইতে থাকে। এই প্রসারিত দৃষ্টি-পৃষ্ট বিষয় যত সংগৃহীত হইয়া আইসে, ততই অন্তর্জগৎ বিস্ফারিত—মুতরাং ততই ধৰ্ম্মবোধের কলেবর বৃদ্ধি—হয়, এবং সেই কলেবরবৃদ্ধি হইতে আবার অনুরূপ পুষ্টতর কর্শের উৎপাদন হইয়া