পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: C е গ্রীক ও হিন্দু। অতিপারলৌকিক, গ্রীকধৰ্ম্ম অতিলৌকিক । যাহা হউক,জগতে সত্বরেই এক দিন আসিবে, যে দিন এই লৌকিক ও পারলৌকিক উভয় আসিয়া একতায় মিলিত হইয়া, লৌকিক ও পারলৌকিক প্রভেদশূন্ত হইবে। সেই দিনের পর হইতেই জগতে নূতন পৃথিবী বিরাজ করিতে থাকিবে ; স্বর্গ ও পৃথিবীর উভয় সম্মিলনে, স্বর্গপ্রিয়গণ স্বচ্ছন্দে উভয়লোকে বিচরণ করিয়া ফিরিবে । উহাকে মানবীয় আত্মিক উন্নতির চরম পুরস্কার বলিলে বলা যায় । কিন্তু এখনও সে দিন দূরে —দূর হইলেও, সে সৰ্ব্বসুন্দর মহাধৰ্ম্মের সর্বসুন্দর মহাশাস্ত্র যাহা, তাহা জগতে অনেক দিন হইল প্রচারিত হইয়াছে এবং এখনও তাহা সম্যক অনুভূত বা অনুষ্ঠিত হইবার নিমিত্ত সময় প্রতীক্ষা করিতেছে । সে শাস্ত্র ?—শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । আত্মিক উন্নতি যখন যাহার যেরূপ, তাহার সেই অবস্থার উপযুক্ত স্বাহ, তাহার অতিরিক্তে চাপাচাপি করিয়া যে কোন প্রকারের ধৰ্ম্মে তাহাকে দীক্ষিত করা যাউক না কেন ; সে তখনই তাহাকে আপন প্রকৃতি ও জ্ঞানের সমতায় অনিয়া তবে ক্ষান্ত হইবে । ইহার সুন্দর দৃষ্টান্ত মুসলমান ও খৃষ্টানগণ। যিশুখুষ্ট ও মহম্মদ উভয়ই ধৰ্ম্মপ্রচারক ; কিন্তু একজন বিনীত আর একজন উদ্ধত ; অথবা অন্ত কথায় একজনের প্রচারকার্য্য পারলৌকিক বা আত্মিক ভাৰে, আর একজনের প্রচারকার্য্য লৌকিক বা সাংসারিক ভাবে । ইহলোক-সুখপ্রার্থী মুসলমানেরা দেখ স্বধৰ্ম্মে কতই আগ্রহবান ও অটল ; তাহার কারণ, অবলম্বিতধর্শ্ব তাহদের প্রকৃতিসহ সমতাপন্ন। আর আধুনিক খৃষ্টশিয্যের ? তাহারাও অন্ত্ররূপমুখপ্রার্থী, অথচ খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম তাঁহাদের উপর চাপান, সুতরাং খৃষ্টান হইয়াও ইহারা খৃষ্টান নহে ;—ক্লোবিসের ভায় খৃষ্টান, স্বদলবলে বৃষ্টের আত্মবলির সময় যদি উপস্থিত থাকিত,