পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b &3 গ্রীক ও হিন্দু । । • . দেবচরিত। - ভারতে ভারতীয় মানবচিত্ত, ভারতের অদ্ভুক্ত প্রকৃতিদর্শনে, বিস্ময়াভিভূত হইয়। ক্রমে মনস্তত্ব এবং পারলৌকিক চিন্তায় এরূপ সমাহিত হইয়া আসিল যে, পর পর অদৃশু ভেদ করাই যেন মানবজীবনের মুখ্য উদেষ্ঠ স্বরূপ হইয়া দাড়াইল । গ্রীকচিত্তের ভাৱ সেরূপ নহে। দেখা যায় যে, প্রকৃতি বক্ষে যথায় যথায় হিন্দুর হস্ত বিস্ময়-আকুঞ্চিত গ্ৰীকহন্ত তথায় তথায়ই প্রভূত বলদীপ্ত ; বস্তুতঃ গ্ৰীক তাহার নিজ অহংতত্ত্ব ও স্বয়ং স্বামিত্ৰই বুঝে ভাল। গ্রীকের নিকট পরলোক বা লোকাতীত শক্তি যত থাকুক বা না থাকুক, তাহাতে তাহার বড় একটা অধিক যায় আসে না ; কিন্তু শক্তিসাধ্য আত্ম-ঐশ্বৰ্য্য এবং মুখ, ইহার স্বচ্ছন্সভোগে ইহ জীবন কাটাইতে পালেই তাহার পক্ষে জীবনের মহাদেশু সাধন করা হইল। গ্রীকদিগের কৰ্ম্মপ্রবাহ তাহার মূলস্থানকে, এই আধিভৌতিক সাংসারিক বুদ্ধি সামান্ত উত্তেজিত করে নাই। বলা ৰাহুল্য যে, ভারতীয় জীবন ঠিক ইহার বিপরীত। ভারতচিত্ত, উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম, চতুৰ্দ্ধিকের যে কোন দিকে নেত্র নিপতিত তথ য়ই, যাবতীয় পশ্বন্ধ বিষয়ে একমাত্র অদৃষ্টহস্তকে বলবান দেখিতে পাইতেন। প্রকৃতি, তাঁহাদের নিকট, সৰ্ব্বত্রই তাহার ভীষণ শক্তিপ্রব হে পদে পদে মনুষ্যহস্তকে বিমুখ, বিতাড়িত এবং ভয়োপ্তম করিয়া দিতেছে। উৰ্দ্ধমুখে তাকাইতৃে গেলে এই ফল ; ওদিকে নিম্ন-মুখে তাকাইতে গেলে ঘৃণিত দাসবর্গের স্বাগত জীবনাদর্শ সম্মুখে ; সুতরাং নিম্নমুখে ষে কিছু জীবনমুখ হেতু আশ্রয়ের অভিলাষ, তাহাও এই স্বণিত দাসবর্গের স্থগিত জীবনদর্শনে তিরোহিত হইয়া যাইতেছে । অতএব কোন দিকেই স্থান না পাইয়া, ভয়োজম, ভগ্নশক্তি মানব, ভবিস্ময়ে আপ্লুতচিত্ত ও আস্থলুপ্ত হইয়া,