পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

е গ্রীক ও হিন্দু। তৎকর্তৃক বর্ণিত অদৃষ্টবাদ যে কি, তাহা উপরের কয়েকটি কথা দ্বার সমস্ত বুঝাইয়া দিয়াছি। শ্রুতির অদৃষ্টবাদ অতি গঢ় ও অতি উজ্জল তত্ত্ব, তাহা দুই চারি কথায়, অথবা কেবল কথাতেও বুঝাইবার বিষয় নহে । কেবল বাইবেল নহে, আরও অনেকানেক জাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদি আছে, যাহারা কি মানবীয়বিষয়ক, কি প্রাকৃতিক, কোন বৈষম্যেরই বিশেষ কোন সন্তোষপ্রদ কারণ দর্শাইতে পারে না ; অথচ ইহাও বলিয়া থাকে যে, মানবের ইহ জন্মের স্বেচ্ছা তাহার সমস্ত শুভাশুভের কারণ। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, কেবল সেরূপ স্বেচ্ছা মানবের কতদূরই করিতে সক্ষম হয় ? স্বেচ্ছায় মানুষের অনেক কার্যের উৎপাদন করিয়া থাকে বটে, কিন্তু সকল কাৰ্য্যের নহে ;–স্থষ্টির দিন হইতে এ পর্য্যন্ত কয় জন লোক ইচ্ছাবশে বা ইচ্ছার পরিচালনে যথাভিলষিত অদৃষ্টপূৰ্ব্ব ফললাভ করিতে সমর্থ হইয়াছে ? বরং তদ্বিপরীতে কতই না লব্ধফল ইচ্ছার পরিচালনকে অতিক্রম করিয়া সমুৎপন্ন হইয়া থাকে। অথবা বলিতে পার, মানব স্বয়ং তাহার কোন ইচ্ছাবশে মানব হইয়াছে এবং কেনই বা সে মানব হয় ;– আর যদি বল অন্তে তাহাকে মানব করিয়া পাঠাইয়াছে, তবে আবার জিজ্ঞাস্ত সেটা তাহার কোন ইচ্ছার জন্ত ? অথবা কে সে এমন অবিবেচক যে জানিয়া শুনিয়াও ইচ্ছাপূৰ্ব্বক এ সুখদুঃখময় সংসারে তাহাকে মানব করিয়া পাঠায় ? সত্য করিয়া বল দেখি, কেবল ‘স্বেচ্ছার’ আশ্রয়ে কি এতগুলি কথার উত্তর হইতে পারে ? বোধ হয় না । তবে কি কথার এক সীমা ছাড়িয়া আর এক সীমা ধরিয়া বলিব যে, এ স্বেচ্ছ আকাশ-কুমুমবং অলীক কল্পনামাত্র ? তাহা নহে। স্বেচ্ছারও অস্তিত্ব আছে ; আছে বটে, কিন্তু সে সঙ্গে আরও একটা