পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*S (top औक ७ झ्न्नूि । প্রকৃতি যেখানে যতই ক্ষীণবেশে থাকুক, স্বীয় আকর্ষণী শক্তির প্রভাবে মানবচিত্তে পারলৌকিক ভাবের কিছু না কিছু আবির্ভাব -করিবেই করিবে ; প্রভেদ কেবল প্রাকৃতিক মূৰ্ত্তির প্রকার অনুসারে আকর্ষণী শক্তির গুরুত্ব বা লঘুত্ব ও প্রকরণদিভেদে, বিভীষিক ও বিস্ময়াদি ঔপসর্গিক বিষয়ের নৃনেতর ভাব এবং ধারণা ও বিশ্বাসে বিভিন্নত ও বিপুলত বা নূ্যনতা আদি শ্রেণীভেদ মাত্র। অতএব গ্রীকচিত্ত যখন দেখিল যে, পারলৌকিক ভাব-আবির্ভাবের হাত হইতে আর কোন রকমে ছাড়াইবার যো নাই, তখন যাহা হউক তাহার একটা কিছু না কিছু ব্যবস্থা করা আবশুক ; নতুবা চিত্ত প্রবোধ মানিতেছে না । ভাল ! তাহাই হইবে । ইহারা অাদত কাজের লোক, হাতে হাতে কল চাহি,—হাতে হাতে অসাব্যস্তের নিরাকরণ এবং সাব্যস্তের স্থিরীকরণ প্রয়োজন, নতুবা বাতাসে দড়ি দিয়া বা হাওয়ায় ফাদ পাতিয়া কি হইবে ; অতএব অদৃষ্ট বিষয়ের জন্য মিছা অধিক ঘূর্ণতরঙ্গে প্রবিষ্ট হইবার প্রয়োজন নাই। সুতরাং যে ‘গহনম গভীরম’ লইয়া হিন্দুসস্তানকে এত গোলে পড়িতে ও ঘোর অন্ধকারে ঘুরিতে দেখিয়া আসিলে, গ্ৰীকসন্তান এক নিশ্বাসেই তাহার সমস্ত গোলযোগ:নিরাকরণ ও যাবতীয় অমীমাংসিত বিষয়ের মীমাংসা করিয়া ফেলিল। প্রকৃতির প্রতি বারেক দৃষ্টিমাত্রেই স্থির হইল গহনম্ গভীরম’ (chaos) অর্থাৎ প্রলয়াবৰ্ত্ত হইতে পৃথিবীর উৎপত্তি হইল। কিন্তু কেন হইল, কে করিল? ‘গহনম্ গভীরম বা কি ? তাহা বৈদিক ঋষি বসিয়া ভাবুন, আমার ভাবিবার আবশ্বক নাই ; কেন হইল, কে করিল, তাহাতে এবং ততদূরে আমার আবশ্বকটা কি ? ধেই করুক, যে কারণেই হউক, উহা হইয়াছে ; উহা আছে এবং আমিও আছি,—পৃথিবী হইয়াছে এবং পৃথিবী আমার সকল রকমের অভাব