পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । । >°> হইয়ার্লি। যেহেতু দেখা যায় যে, হিন্দুর ধৰ্ম্ম যাহা, উহার আর দোষাদোষ যাহাই থাকুক, উহার মূল কিন্তু নিহিত হইয়াছে সেই সৰ্ব্বমূলে যাহা সুপর্ণম্ বিপ্রাঃ কবয়ঃ বচোভিঃ একম সস্তম্ বহুধা কল্পয়ন্তি।” আর গ্রীকের ধর্শ্বতত্ত্ব বা দেববংশের মূল নিহিত “গহনম্ গভীরম” বা প্রলয়াবৰ্ত্ত মধ্যে। উপযুক্তই হইয়াছে ! একের মূল আলোক, অপরের মূল অন্ধকার । কিন্তু কেবল আলোক বা কেবল অন্ধকারে কিছুই হয় না ; উভয় সম্মিলনেই রূপ ও সৌন্দৰ্য্য স্বই হইয়া থাকে। তাই আলোক এবং অন্ধকার, দুই বিপরীত দেশে স্বাক্ট হইয়া, দুই বিপরীত দিক হইতে, কালে সম্মিলিত হইবার জন্ত প্রস্তুত হইতে চলিয়াছে। উভয় উভয়কে এখনও জানিতে পারিতেছে না ; কিন্তু ক্রমে কালকর্তৃক আনীত হইয়া যখন হিন্দু আধ্যাত্মিকতা ৪ গ্রীক আধিভৌতিকতা সম্মিলিত হইতে পারিখে। বলা বাহুল্য যে, তখনই জগতে পূর্ণ সৌন্দৰ্য্য—পূর্ণ মনুষ্যত্বের সঞ্চার হইবে। গ্রীকদেবরাজ্যের মধ্যে উৰ্দ্ধতম দেবতা জিউস, “দেবতাবর্গের মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ এবং মহাবিক্রমশালী, দূরদর্শী, সৰ্ব্বশাসক, ঘটনা সকলের ঘটক, এবং সুখশায়িনী স্তায়াধিষ্ঠাত্রী দেবী থেমিসের সহ সৰ্ব্বদা ন্যায়ালোচনারত ” * ইনি সৰ্ব্বশাসক বটে, কিন্তু অনেকে আবার ইহঁার শাসন একেবারেই উপেক্ষা করিয়া থাকে। ঐ শুন, একজন কিক্লোপিস ইউলিসিসকে কি বলিতেছে, "ওহে পথিক, তুমি দেখিতেছি উন্মত্ত হইয়াছ, অথবা নিশ্চয় তুমি নিতান্ত দূরদেশ হইতে এখানে আসিয়াছ তাহা না হইলে দেবতাদিগকে ভয় বা তাহদের সংস্রব পরিহার করিবার জন্ত আমাদিগকে কখনও এরূপ উপদেশ দিতে না । জানিও, কিক্লোপিসেরা বজধারী জিউস, বা ষে _ক্ষ হোমরিক লোক-জিউদ- - Y }