পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՀ গ্রীক ও হিন্দু। প্রধান, জীবত্ব এবং বাহাজগৎ, এ উভয়কে সমান পরিচালিত করিয়া থাকেন । কিন্তু ইহাতে প্রভেদ এই যে, বাহাজগৎ কেবল প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত হইয়া থাকে ; কিন্তু জীব প্রাকৃতিক নিয়ম ও আত্মকৃত নিয়ম ( অর্থাৎ স্বীয় স্বেচ্ছাশক্তি ), উভয়ের দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রাকৃতিক নিয়ম যাহা, তাহা সাধারণতঃ বাহাজগতের দ্বার দিয়াই জীবের উপর আধিপত্য করিয়া থাকে । শ্রীতি অথবা আরও স্পষ্টতঃ শ্রত্যবলম্বী দর্শনশাস্ত্র বেদান্ত বলিয়া থাকেন যে, যেমন ব্যষ্টি জীবের জন্মান্তরীণ কামকৰ্ম্ম জন্ত ব্যষ্টি কৰ্ম্মস্থত্র ও ব্যষ্টি প্রকৃতির উৎপত্তি, তেমনি সমষ্টি জীবের তদ্রপ কামকৰ্ম্ম জন্য সমষ্টি কৰ্ম্মস্থত্র ও সমষ্টি অদৃষ্টরূপ বাহাজগৎ সমন্বিত এই মহাপ্রকৃতির উদয় হইয়াছে ; সেই সমষ্টি কৰ্ম্মস্থত্ররূপ মহাকৰ্ম্মস্বত্রই দৃষ্টাদৃষ্ট ব্ৰহ্মাণ্ডের কারণস্বরূপ । তাহা হইতে বিষয় সকলের উদয়, বিলয় ও স্থিতি সাধন হয়। তদাদিষ্ট কৰ্ম্মপরিপাক হেতু কি ব্যক্তিবিশেষ, কি সম্প্রদায়বিশেষ, কি জাতিবিশেষ, কি জীবহুষ্টি, কি চরাচর, কি জড়াজড়, সকলেই সমষ্টি ও ব্যষ্টি উভয় ভাবে, উপযুক্ত দেহ, অবস্থা, সংসার, জনক জননী, সঙ্গী, কৰ্ম্মস্থলী এবং ইচ্ছাতীতে কৰ্ম্মবিশেষে লিপ্তভাব, ইত্যাদি প্রাপ্ত হইয়া, অদৃষ্টপ্রাপ্ত ফলাফল ও শুভাশুভদি ভোগ করিয়া থাকে। তাহ দ্বারাই বাহাজগং পরিচালিত হয় এবং তাঁহারই প্রভাবে বাহাজগৎ জীবের স্বেচ্ছাশক্তির উপর প্রভুত্ব করিয়া থাকে ; এবং এই কারণ হেতু, মানবের স্বেচ্ছ বা পুরুষকার অন্যত্র স্বাধীনরপে কাৰ্য্যক্ষম হইলেণ্ড, যথায় যথায় এবং যখন যখনই এই মহাকৰ্ম্মস্থত্রের ক্রীড়া হইয়া থাকে তথায় এবং তখনই উহাকে বিনত হইয়া চলিতে হয়। ইহাও এক্ষণে আর বলা বাহুল্যমাত্র যে, সেই অদম্য সৰ্ব্বপরিচালক মহাকৰ্ম্মস্বত্রবশেই, ফলদ্বয় একই বৃক্ষে উৎপন্ন