পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । >レア> পারে না। ঐশ্বরিকসত্তার দ্যোতনশীলতা হইতে দেবতা । এই কারণেই, বেদোক্ত যাবতীয় পদার্থনামকে দেবতাপদে গণনা করা হইয়াছে। (৩১) আমার বোধ হয়, তদ্রুপ সেই আদিম বৈদিক দেবতাবোধ হইতেই হিন্দুগৃহে মূৰ্ত্তিপূজা, এমন কি বৃক্ষ প্রস্তরাদির পর্য্যন্ত পূজা উপস্থিত হইয়া থাকিবে। ফলতঃ যেখানে ঐশ্বরিক সত্তার সর্বব্যাপকতায় এরূপ বিশ্বাস, সেখানে মূৰ্ত্তি বা সাঙ্কেতিক পদার্থবিশেষের পূজা নিতান্ত অযৌক্তিক বলিয়া বোধ হয় না ; অথবা ইহা বলিলেও নিতান্ত অযৌক্তিক হয় না যে, সেরূপ পূজা বস্তুতঃ সেই পরমেশ্বরে গিয়াই বৰ্ত্তে। ঈশ্বরই হউন বা দেবতাবিশেষই হউন, মূৰ্ত্তি যে র্তাহাদের নাই বা থাকিলেও তাহা অপরিজ্ঞাত, অথবা সত্ত্বা যাহা, তাহা যে মূৰ্ত্তি বা আকৃতি বা আধারবিশেষের অপেক্ষ রাখে না, তাহা হিন্দুরাও না বুঝিতেন, এমন নহে। তথাপি তাহদের বর্ণনে বা গঠনে মূৰ্ত্তি কল্পনার কারণ কি ?—ইহার কারণ অন্য কিছুই দেখা যায় না, কেবল এই যে, মানুষ স্বীয় ধারণাকে অতিক্রম করিয়া কোন বিষয় অনুভব বা আয়ত্ত করিতে পারে না ; সুতরাং অমুভূতি ও ধ্যানের সহায়তাই উহার উদ্দেশ্য এবং তদ্বিষয়ক কল্পনাও সুতরাং সম্পূর্ণতঃ মানবীয়। (৩২) পুনশ্চ, ঐশ্বরিক সত্তা ও পদার্থ, এতদুভয়ে যেরূপ সম্বন্ধ ও যেরূপ আশ্রয়-আশ্রিত ভাব, সে পক্ষে এই উপমা দেওয়া হয় যে, আকাশকে আশ্রয় করিয়া যেরূপ বায়ুর অস্তিত্ব এবং আকাশ '(৩১) নিরুক্ত দৈবতকাও ৷ (৩২) এতদ্বিষয়ে একটি শ্লোক ভক্তসম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত আছে, ভাঙ্গা এই,— “রূপং রূপবিবর্জিতস্ত ভবতঃ ধ্যানেন যদ্বর্ণিতং, স্তুত্যনিৰ্ব্বচনীয়তাথিলগুরোদ রীকৃতং যন্ময়া। ব্যাপিতঞ্চ বিনাশিতং ভগবতো যত্তীর্থযাত্রাদিন, ক্ষাস্তব্যং জগদীশ তৎকরশয়া দোষত্ৰয়ং মৎকৃতং ॥”