পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str8 গ্রীক ও হিন্দু। কি আধিভৌতিক, উভয় সংসারে যাহা কিছু আছে, তাহা সমস্তই মানবের জীবত্বতত্ত্বে স্থশ্নরূপে অবস্থান করিয়া থাকে। মানব কোন দেবতাবিশেষ হইতে শুভাশুভপ্রার্থী হইলে সেই বিশেষ দেবত্ব তত্ত্ব, যাঙ্গ স্থলভাবে তাহাতেও অবস্থান করিতেছে, তাহাকে উত্তেজনার দ্বারা অভীষ্ট দেবতা সহ স্বীয় একতানত সাধন করিতে পারিলে, অভীষ্ট সিদ্ধ হইতে পারে। সেই উত্তেজনা ও একতানত, উপযুক্ত ও অনুরূপ শব্দশক্তির দ্বারা যতদূর হইতে পারে, ততটা আর কিছুতে হয় না ; যেহেতু সংসারেও নিত্য ইহা প্রত্যক্ষ হইতেছে, যে, শবশক্তিতে যতট কাৰ্য্য হয়, মানবীয় আর কোন শক্তিতে ততটা সাধন করিতে পারে না । ইহাও পুনঃ স্বতঃসিদ্ধ সত্য যে, শক্তিতে শক্তিতে ঘাত প্রতিঘাত হইলেই, তরঙ্গ উত্থানে, পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ইহার একতর বা উভয় স্থত্র ধরিয়াই, কৰ্ম্মবিশেষ অর্থাৎ ফলের উৎপত্তি হইয়া থাকে । সুতরাং এই শব্দশক্তিকে অবলম্বন করিয়াই, কথিত উত্তেজনা ও একতনত সাধনের উপায় স্বরূপ, অনুরূপ শব্দ যোজনায় বেদমন্ত্রের উদয় হইয়াছে ; এবং এই বেদমন্ত্রের যে ফলোপধায়কতা, তাহ দার্শনিকেরা পর্য্যন্ত স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। (৩৪) ইহাই হিন্দুর বিশেষ বিশেষ কাৰ্য্যানুসারে, বিশেষ বিশেষ দেবোপাসনা যজ্ঞ ও মন্ত্রাদির তত্ত্ব । দেবতত্ত্বসহ শব্দশক্তির তদ্রুপ ঘনিষ্ঠত হেতু, শব্দশক্তি “শব্দব্ৰহ্ম” আখ্যায় ঘোষিত হয় এবং এই শব্দব্রহ্মের চূড়ান্ত সঙ্কেত “ওম্”। “ওম্” শব্দের অর্থ "হা”, (৩৫ ) অর্থাৎ অস্তিত্ব ; অস্তিত্বই সৎ, সত্য এবং (৩৪) মন্ত্রশক্তি নিতান্ত অলীক বলিয়াবোধ হয় না ; কারণ লেখক স্বয়ং এতৎ মম্বন্ধে যে দুই একটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করিয়াছেন, তাহ অতি আশ্চর্য । (৩৫) উধ্ব উ যুণ উতয়ে তিষ্ঠা দেবো ন সবিতেতি যদ্বৈ দেবানাং নেতি তদেযামোমিতি ।—ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২৩ ৷