পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2ye গ্রীক ও হিন্দু। ইরিবোস, সৰ্ব্বদা নিরানন্দময় ও নানা ক্লেশভোগের স্থান । পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে যে, স্বৰ্ত্তির ফলে ইরিবোস বা নরকের রাজত্বভার জিউসের ভ্রাতা হেদিসের ভাগে পতিত হয়। সেই হেদিস এই ইরিৰোসের অধিপতি, হিন্দুদিগের যমরাজস্থানীয়। হেদিসের চরিত্র সম্বন্ধে এরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি স্বীয় অভিপ্রায়ে অটল, কাহারও সহস্ৰ কান্নাকাটী বা অনুরোধে দৃকপাত করেন না, ক্ষমা কাহাকে বলে তাহা জানেন না, দয়াদাক্ষিণ্যশূন্ত, নিরানন্দময় এবং মুখ সৰ্ব্বদা কালিমার ছায়ায় আচ্ছন্ন ; একবার কেহ তাহার পুরে গমন করিলে আর কখনও সে ফিরিতে পারে না । হেদিসের এইরূপ চরিত্র জন্য, তিনি দেব এবং মানব উভয়েরই নিকট ঘৃণ্য ও বিদ্বেষের পাত্র। (৩৭) কিন্তু এ হেন হেদিসেরও প্রেমকাহিনী ও প্রেমের থেলা অনেক । তিনি পার্সিফোনি বা প্রোসাপিণিকে হরণ করিয়া নিজের পাটরাণী করেন। তাহা ব্যতীত লিউকে ও মেস্থা নামে আরও দুইজন ভালবাসার পাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায় । , ইরিবোস বৈতরণীর ন্যায় স্তিক্ষ নামক নদীর দ্বারা বেষ্টিত, এবং পুরপ্রবেশের পথ কেবিরোস নামক ত্রিশিরোবিশিষ্ট একটা কুকুরের স্বারা রক্ষিত ; উত্তম অধম, পুণ্যবান পাপী, সৎ অসং, উভয় নিৰ্ব্বি পঞ্চশাখা ও স্বরস্বতী) প্রাবল্যহেতু, সে প্রদেশের নাম হয় সপ্তসিন্ধু প্রদেশ । এই সপ্তসিন্ধুই একপক্ষে, পৌরাণিক সময়ে যখন সিন্ধু অর্থে সমুদ্র বুঝাইতে লাগিল, তখন লবণ ইষ্ণু আদি সপ্ত সমুদ্রে পরিণত হয়। অপর পক্ষে, প্রাচীন পারসিকদিগের উচ্চারণদোষে, সিন্ধু শব্দ “হিন্দু" উচ্চারিত হইয়া, ভারতীয় দিগের হিন্নামের স্বষ্টি করে । তাহা পুনঃ গ্ৰীকদিগের "হ" অক্ষর না থাকায় “ইন্দ” এবং "ইন্দ আবার লাতিন ভাষায় স্ত্রীলিঙ্গাস্ত হইয়া “ইণ্ডিয়া” নামের স্বষ্টি করিয়াছে। ঐ ইণ্ডিয়া নামেই ভারত আপাততঃ ইউরোপভূমে বিদিত। (9*) Il. IX. I58, I59.