পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব )b*సె বচনাবলীর যখন উদয় হয় ; তখনও পরলোক সম্বন্ধে যে কোন প্রকার অপেক্ষাকৃত উন্নতভাব গ্রীকমনে প্রবেশ করিয়াছিল, তাহা বোধ হয় না। এই শুন, থিওগণিসোভ বিজ্ঞ বচনাবলীর মধ্যে, পরলোক সম্বন্ধে কিরূপ আশা ভরসা এবং জীবনের কিরূপ প্রার্থনীয় বিমল সকল স্থচিত হইয়াছে। “মনুষ্যসস্তানের মধ্যে এমন কেহ নাই যে, একবার মৃত্তিকা দ্বারা আবরিত এবং প্রোসাপিণির বাসভবন যমপুরীতে উত্তীর্ণ হইলে, আর সে আনন্দভোগে সমর্থ হয় ; যেহেতু গীতবাদ্যও তখন আর তাহার কর্ণকুহরে প্রবেশ করে না, এবং মধুররস মদিরাও আর তাহার রসনাকে পরিতৃপ্ত করিতে আইসে না । এই সকল দেখিয়া শুনিয়! আমার আন্তরিক বাসনা এই যে, যে পৰ্য্যস্ত জীবন থাকে, তাহা যেন নিঃশঙ্ক ভাবে ও মনের আনন্দে অতিবাহিত করিয়া যাই । “যাহারা মৃত ব্যক্তির জন্য খেদ করে, কিন্তু (বিনা মুখভোগে বিফলে ) গতপ্রায় যৌবনের প্রতি একবারও সাশ্রনয়নে তাকাইয়৷ দেখে না, তাহারা কি বালকবং মূঢ় ! “অন্তঃকরণ, তুমি আশ্বস্ত হও এবং ( যে পৰ্য্যন্ত জীবন থাকে সে পৰ্য্যন্ত) আনন্দে কালাতিপাত করিতে শিখ ; যেহেতু মৃত্যু আসিলেই এই মুক্তিকাবৎ তোমাকে চৈতন্যশূন্ত হইতে হইবে।” “যাবতীয় দেবতা অপেক্ষা অর্থই সুন্দর এবং আনন্দদায়ক ; হে অর্থ, তোমার অনুগ্রহ হইলে, আমি অধম হইয়াও উচ্চ মনুষ্যপদবীলাভে সমর্থ হই ।” “লোটোনাপুত্র ফিবস আপলো এবং দেবরাজ জিউসের নিকট আমার একান্ত প্রার্থনা এই যে, তাহাদের অনুগ্রহে আমি যেন পার্থিব