পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাৰ । ১৯৭ সক্রেভিসের মতে যে যত অভাব কমাইয়া আনিতে পারে, সে ততই সুখের ভাগী হয় ও ততই সে আধ্যাত্মিক উন্নতিলাভে সমর্থ হইতে পারে। (৫৩) হিন্দু যোগীর ন্তায় ক্ষমা ও তিতিক্ষণ গুণও সক্রেতিসে যথেষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। তঁহার স্ত্রীর স্তায় দুঃশীল ও মুখরা স্ত্রী আর কখনও জন্মিবে কি না সন্দেহ ; সক্রুেতিস সহ গুণ অভ্যাস করিবার নিমিত্ত জানিয়া শুনিয়াই তাঁহাকে বিবাহ করিয়াছিলেন। সক্রেতিসের প্রধান শিক্ষা, মানবীয় আত্মার অবিনাশিত্ব। কিন্তু অনেক গ্রীকই তাহ বড় একটা বুঝিত না। এজন্ত সনোহকারীদের প্রতি সক্রেতিসের উক্তি —“আত্মার অবিনাশিত্ব সম্বন্ধে আমি যাহা বলিতেছি, যদি তাহা সত্য প্রমাণিত হয়, তাহা হইলে ত উহা বিশ্বাস করায় নিশ্চয়ই পরম লাভ । আর যদি মৃত্যুর পর উহা মিথ্যাই প্রমাণিত হয়, তাহা হইলেও আত্মার অবিনাশিত্বে বিশ্বাস করায় অলাভ দেখা যায় না ; যেহেতু কেবল ঐ বিশ্বাস জন্য আর আর লোক অপেক্ষ আমি যতটা নির্ভিকভাবে শাস্তিমুখের অধিকারী হইতে পারিতেছি, অন্য প্রকারে জীবন অতিবাহিত হইলে, কখনই ততটা ঘটিত না ।” ( ৫৪ ) ঈশ্বরের নিকট সক্রেভিসের প্রার্থনা;—“হে পরমেশ্বর, তোমার নিকট এইমাত্র আমার সকাতর প্রার্থনা যে, আমরা যাজ্ঞা করি বা না করি, তথাপি তুমি আমাদিগকে ভাল হইলেও এরূপ পদার্থ সকল কথনও প্রদান করিও না, যাহা অশুভকর ও অসৎ পথে মতিকে লইয়া যায়।” ( ৫৫ ) (eo) Xenoph. Memorab. l. i. (es) Plato Phaed. ( ce ) Plut. în Alcib. I. ii.