পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । २ ●é গিয়াছে ; পরলোক পরিচ্ছিন্ন ও দিবামানে আলোকিও, লোকে স্বচ্ছন্দ্বে দেখিতে পাইতেছে যে, তথাকার সঙ্গে আমার সম্বন্ধ কি। ঔদ্ধদেশিক অচিন্তনীয় আয়তনের সমতা করিবার আয়াসে, সমস্ত শক্তি তাহাতেই পৰ্য্যবসিত হওয়ায় এবং উৰ্দ্ধদেশের প্রতি চিত্তের দৃঢ় আকর্ষণ হেতু, মানব সংসারপ্রিয়তাশূন্ত ; পুনঃ সংসারসহ উপযুক্ত সংস্রবপরিশুম্ভে, অযথা উদ্ধমুখে ধাবমান। এই জন্য ভারতীয়দের প্রার্থনা মধ্যে পারলৌকিক শুভ কামনা অধিক ; এই জন্ত হিন্দুসস্তানের নিকট “ধৰ্ম্মাং পরতরং নহি” এবং এই জন্ত আজি পৰ্য্যন্ত হিন্দুসস্তান, অধূনা · প্রায় সকল-সাত্ত্বিক-ধৰ্ম্মবিবর্জিত হইয়া পড়িলেও, সাবেক দাড়ার খাতিরে সকল কৰ্ম্মে শ্ৰীহরিকে স্মরণ করিয়া এবং এমন কি, চিঠি পর্যন্ত লিখিতে সৰ্ব্বাগ্রে “শ্ৰীদুৰ্গা” নাম লিখিয়া থাকেন। এখনও হিন্দুসস্তানের মধ্যে যাহা কিছু গাঢ় নৈতিক ভাব দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাও ঐ ‘শ্রীদুর্গার” ন্যায় কেবল সাবেক দাড়ার খাতিরে। ফলতঃ হিন্দুর পুরাকালিক সেই সৰ্ব্বজনীয় মহত্বচ নীতি এখন অতি সঙ্কীর্ণ আয়তনে অসিয়া দাড়াইয়াছে —হিন্দুর একতা ও সহানভূতি গুণ এখনও না আছে এমন নহে, নতুবা বহুপরিবার-প্রথা ও এক জনের ঘাড়ে দশজন চাপিয়া থাকিবে কেন ? কিন্তু স্বজাতির প্রতি বিশ্বায়, মমতা, একতা ও একপ্রাণত যাহাঙোহা আর নাই। ত্যাগস্বীকার এখনও আছে, নতুবা পরিবারাদির জন্ত এমন চাকুরী-লাঞ্ছনা সহিবে কেন? কিন্তু স্বজাতির জন্য আর বিন্দুমাত্র ত্যাগস্বীকারে রাজী নহে ; উলটয়া বরং “পুনকে শত্রুর” আকার ধারণ করিয়া থাকে। এইরূপ সকল প্রকার নীতিই একটু একটু এখনও আছে বটে,কিন্তু সমস্তই প্রায় স্বীয় পারিবারিক বা আত্মস্বার্থে আবদ্ধ। কৰ্ম্ম সঙ্কীর্ণতা প্রাপ্ত হইলে, সঙ্গে সঙ্গে আর সমস্তই সঙ্কীর্ণতা প্রাপ্ত হইয়া থাকে ; হিন্দুরও আজি