পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ই ১০ औक ७ हिन्दू । মধ্যপথে তাহ হরণ করিয়া লইত। তাঁহাতে দেবদল কাজেই তখন আহাৰ্য্য অভাবে ক্ষুধায় আকুল ও অস্থি-চৰ্ম্ম সার হইলেন । অবশেষে বেগতিক দেখিয়া ও নিরুপায় হইয়া, পক্ষীদিগের সঙ্গে সন্ধিস্থাপন করাই যুক্তিসিদ্ধ মনে করিয়া, দেবগণ হিরাক্লিস প্রভৃতি দেবতাত্রয়কে দূত করিয়া পক্ষিনগরে পাঠাইয়া দিলেন। দেবদূতগণকে যেন দৃষ্টি-আগুনে দগ্ধ করিবার জন্তই, পক্ষিগণ দরবারগৃহের পরিবর্তে রন্ধনশালায় তাহাদিগকে গ্রহণ করিল। এই রন্ধনগৃহস্থিত আঙ্গরীয় দ্রব্য দর্শনে ও তাহার ভ্রাণে ক্ষুধাৰ্ত্ত দেবদূতগণের যে লোলুপতা ও ভাবভঙ্গী, কবিকৃত তাহার বর্ণনাসকল অতিশয় হান্ত-উদ্দীপক ও দেববর্গের হেয়ত্ব-সাধক । যাহা হউক, শেষে দেবদল, পক্ষিরাজকে বহু তোষামোদ করিয়া এবং অধিকন্তু তাঁহাকে বাসিলীয় নামক সুন্দরী দানে সন্তুষ্ট করিয়া, সন্ধিস্থাপন পূর্বক নিৰ্ব্বিল্প হইলেন। আরিষ্টফানিসের এই সকল তীব্র ব্যঙ্গোক্তির মূল উদ্দেশু, গ্রীকদিগের তাৎকালিক ধৰ্ম্মতত্ত্ব ও তদনুষ্ঠানে বিকৃত ও বীভৎস ভাব যে সকল, . তাহা লোকের হৃদয়ঙ্গম করিয়া দেওয়া । ফলতঃ ধর্মের নাম করিয়া গ্রীসে নানাবিধ কদৰ্য্য কাও অবাধে হইয়া যাইত। আধুনিক যুগের হিন্দুও যে ইহার তুলনায় কিছু কম হইবেন, তাহা বোধ হয় না, বরং হয়ত কোন কোন বিষয়ে কিছু উপরেও যাইতে পারেন ; কিন্তু এখানে আধুনিক হিন্দু লইয়া কথা নহে। যে সিংহবংশে সেই আধুনিক হিন্দু শৃগালরূপে জন্মিয় কলঙ্ক অর্জন করিতেছে, এখানে সেই সিংহবংশেরই কথা কহ। যাইতেছে ; এবং তাহারই সহিত বক্তব্য বিষয়গুলি তুলনীয় । 疊 து: এ দিকে এই সকল দেৰপৰ্ব্বাহের বীভৎস ব্যাপার ; ওদিকে কিন্তু আর একটি বিষয় স্পষ্টরূপে দেখিতে পাওয়া যায়, যাহা গ্ৰীকচারক্র