পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२२ ७यौक ७ झिन्मू । এখানে আর একটি বিষয় পরিষ্কার করিয়া বলা উচিত, তাহা এই । হিন্দুর ধৰ্ম্মতত্ত্ব সম্বন্ধে উদ্ধতাংশসমূহ ৰোদি উচ্চ শাস্ত্র হইত লইলাম কি জন্ত এবং গ্রীকের বেলাই বা গ্ৰীক কবিগণ প্রভৃতির দোহাই দিলাম কেন ?— ইহার উত্তর পূৰ্ব্বেই দিয়াছি। গ্রীকদিগের মধ্যে বেদাদির স্তায় প্রতিষ্ঠিত শস্ত্রগ্রন্থের অভাব-কবিগণের রচনা ও গাথাদিই কেবল তথায় তৎপদস্থ। এক্ষণে একবার পূর্বাপর সমালোচনা করিয়া দেখা যাউক । ভারতীয় চিত্ত ক্রমে ক্রমে পারলৌকিক তত্ত্বে এরূপ সমাহিত হইল যে, মানবচিত্ত, পরপর অদৃপ্ত ভেদ করিতে ক্রমাগত উৎসাহবান হইয়া, মানবজীবনের ক্ষণভঙ্গুরতা দৃষ্টে পরলোকের প্রতি সমস্ত নির্ভরতা স্থাপনপূৰ্ব্বক, পার্থিব সমস্ত বিষয় অসার এবং তাঁহা ক্ষণমাত্রের বস্তু এরূপ বোধ করিয়া, তাহার প্রতি অপেক্ষাকৃত শিথিলষত্ব হইল। উপাস্ত ৰিখপতি, যিনি সেই বিশ্ববাসস্থানের পিতৃদেবতা । গ্রীকদিগেরও উপাস্ত ইষ্টদেবতা আছে বটে, কিন্তু কিরূপ দেবতা, তাহ তাহাদের ৰণিত দেবতৰ দ্বারা অবধারণ কর। ভারতীয়দিগের উপাসনার মুখ্য উদ্দেশ্য পারলৌকিক ঐশ্বৰ্য্যলাভ এবং প্রাপ্তমঙ্গলের নিমিত্ত কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন ; গ্রীকদিগের উপাসনার মুখ্য উদ্দেশ্য ইহলৌকিক ঐশ্বৰ্য্যলাভ। গ্রীকবুদ্ধির নিকট দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনের বিশেষ কারণ কিছু দেখা যায় না ; কারণ, যাহা আমি পাইয়াছি বা যাহা আমার আছে, তাহ আমারই হক প্রাপ্য, তাই পাইয়াছি, তাহাতে আবার কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সম্বন্ধ কি ? আর এখন ?—এখন যেরূপ উপাসনা করিব, তাহার যে ফল পাইব, সে ত তেমনি তাহার প্রতিদানমাত্র । অতএব ভারতীয়দিগের দৈবকাৰ্য্য বিষ্ণুপ্রীতিকামার্থে ; আর জমাখরচবিজ্ঞানবিং গ্রীকদিগের দৈবকীর্ধ্য আত্মপ্রীতিকামার্থে। এ সংসার