পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাৰ । ミミ● ক্ষেত্রে যে চিত্তের অবলম্বনীয় বস্তু যেরূপ, সে চিত্তের এ সংসার-উপযোগী কৰ্ত্তব্যবোধ ও নীতিমাৰ্গও তদ্রুপ হইয়া থাকে। গ্রীকদিগের কৰ্ত্তব্যবোধ ঐশ্বৰ্য্যলাভ ; ভারতীয়দিগের কৰ্ত্তব্যবোধ ধৰ্ম্মলাভ । মুতরাং ভারতীয়দিগের নীতিমার্গ, যে কোন উপায়ে হউক, ধৰ্ম্মবিধায়ক ; গ্রীকদিগের নীতিমার্গ, যে কোন উপায়ে হউক, ঐশ্বৰ্য্যবিধায়ক । এতৎ কারণে ভারতীয়েরা ধীর, শাস্ত, ৰিনীত, সৰ্ব্বভূতে সমান দয়াবিশিষ্ট, সৰ্ব্বজীবের প্রতি নৈতিকহিতসাধনে আগ্রহবান। আর গ্রীকের নৈতিকহিতবিষয়ে উদ্ধত, বীরগৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত, কাৰ্য্যসম্পাদকউপস্থিত নীতিপ্রিয়, ক্ষমতার পক্ষপাতী। যাহার বল অধিক, সেই অধিকারী, সেই পুজনীয় ; হিত ও দয়া আত্মহিতে সমাবিষ্ট । উপরে যাহা কথিত হইল, তাহার একটি উদাহরণ দেখা যাউক । ভারতীয় এবং গ্রীকেরা যখন আদিতে স্ব স্ব উপনিবেশ-ভূমিতে পদাপন করেন, তখন উভয়কেই তত্তং-দেশজ আদিম অধিবাসীদিগের নিকট বল বিক্রম প্রকাশপূৰ্ব্বক, তাহাদিগকে পদানত কবির, তাহাদিগের বাসস্থান দখল করিতে হইয়াছিল। আদিমগণের উপর উভয়েই আত্মপ্রভুত্ব স্তাপন করিয়াছিলেন। ভারতে তাহারা শূদ্ৰ, গ্রীসে তাহারা পিলাসগী বা পরবর্তী খ্যাতনানা হেলোট । ভারতীয়দিগের নিকট শূদ্র যেরূপ সম্বন্ধযুক্ত, গ্রকদিষের নিকট পিলাসগাঁও তদ্রুপ । কিন্তু এখন দেখ, এই উভর জাতি, আপন পদানত আদিম অধিবাসীদিগের উপব, কে কেমন ব্যবহার করিয়াছিল। ভারতীরদিগের নিকট, মানব যতই হীনাবস্থায় থাখুক না কেন, তথাপি প্রত্যেক মানব যখন অনন্ত আত্মায় আত্মাবনি, তখন ধরিতে গেলে তাহাকেও ঈশ্বরের অংশমূৰ্ত্তি-স্বরূপ বলিতে হয় ; অতএব কাহারও প্রতি একেবারে cহয়ভাব প্রদর্শন করিলে, সে হেয় ভাব বস্তুতঃ ঈশ্বরের প্রতি