পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२घञ्’ গ্রীক ও হিন্দু । নিমিত্তই ধর্শ্ববিদ্যা ও তত্ত্ববিদ্যা, উভয়ের প্রয়োজনীয়তা। মানব অসৎ প্রভাবে স্বীয় যে মূল স্বভাব হইতে বিচ্যুত হইয়াছে তত্ব এবং খঞ্জৰিত। দ্বার। সেই স্বভাবের পরিজ্ঞান এবং প্রাপ্তি সাধন হয় । খৃষ্ঠায় পুরাণে কথিত আছে যে, সৎ-অসৎ বোধের প্রথমোদয়ে, বিধাতার আদি স্বষ্টি ইডেন-বিহারী আদমকে বিদ্যাবস্থা হইতে পতিত হইয়া, সুখদুঃখময় সংসারক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে হইয়াছিল। আবার কমন সেই সৎ-অসৎ বোধের পূর্ণতায় সৎ হইতে অসতের পূর্ণ বিছাতি হেতু সদসৎ বােধক্কপ ভেভাবক বলি দিতে সমর্থ হইয়া, ( স্বার্থহলিকপ ) মহাবলিকে আশ্রয় এবং আত্মভূত করিতে পরিবে ; তখনই আদমের পুনমুক্তি—পুনৰ্ব্বার সেই দিব্যাবস্থা লাভ। বাইবেল গ্রন্থের এই ঘোষণা কি অপূৰ্ব্ব, কি অভাবনীয় গৃঢ় সত্যপূর্ণ এবং সার্থক ! যে জ্ঞান-বৃদ্ধ হিব্রু-ঋষি এই দুজ্ঞেয় গৃঢ় গুহ ভেদ করিয়াও র্তাহার দিব্যদুই চালনা কবিয়ছিলেন, তাহাকে বহু নমস্কার। বাইবেল গ্রস্তের এই কথা, রূপক বা প্রস্তুত, যে ভাবেই গ্রহণ করা যাউক, ইহা কিন্তু নিশ্চয় এবং প্রত্যক্ষ যে, আদি পিতৃদেবের এই পতনোন্নয়ন, অবশুম্ভাবী উত্তরাধিকার স্বরূপে, তাহার সস্তুতিবর্গের জীবনের প্রতি পরে এবং প্রতি গ্রন্থিতেই নিরস্তর ও অক্ষুন্নভাবে দেদীপ্যমান রহিয়াছে । আমাদের, প্রত্যেক মানবের, আশৈশব সমগ্র জ্ঞানজীবনে ইহ নিত্য নিয়মিত ভাবে অভিনীত হইয়া যাইতেছে। আমরা আত্মদোষে জড়প্রায় ও ক্রীড়নক স্বরূপ হইয়া, তাহ উপলদ্ধি করিতে পারি বা না পারি, তথাপি সে অভিনয়ের তিলমাত্র ক্ষত্তি নাই । দুর্ভাগ্যবান সে, যে ইহ প্রত্যক্ষবৎ অনুভব করিয়া তদন্তসরণে পদচারণ করিতে অসমর্থ। । পুনশ্চ, “বালকদিগকে আমার নিকটে আসিতে দেও, প্রতিবন্ধকতা উপস্থিত করিও না, যেহেতু ঐরূপ গ্রকৃতি লইয়াই স্বৰ্গরাজ্য নিৰ্ম্মিত”—