পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাৰ। ’ ミミぬ এতদ্বাক্যে লোকহিতার্থে স্বার্থবলির জীবন্ত মূৰ্ত্তি যিশুখৃষ্ট স্বীয় শিষ্যদিগের প্রতি অনুযোগ করিয়াছিলেন। যথার্থই ঐরূপ বালকপ্রকৃতি লইয়া স্বৰ্গরাজ্য নির্মিত। আদমের কথিত আদি অবস্থা ঐরূপ বালকবৎ । শিশু অনন্ত হইতে নবাগত, কুটিল কালের সহিত অপরিচিত এবং তৎপ্রতি লক্ষ্যশূন্ত, সদসৎ-বোধে অনভিজ্ঞ, রাজারও প্রজা নহে,সাধুরও খাতক নহে ; পাপপুণ্যের বিচার-বিচীন, নিৰ্ম্মল, নিষ্কলঙ্ক । যথার্থত: সে সৰ্ব্বতোভাবেই ইডেনবিহারী আদমের প্রতিরূপ। শয়তান প্রতিরূপ কালপ্রবর্তনায় শেষে সৎ-অসৎ-বোধের উদয়ে শিশু এখন মানুষ হইয়া সংসার-ক্ষেত্রে প্রবেশ করিল এবং শয়তানের সহ নিত্য সংগ্রামে রত হইল। এই শিশুত্ব ঘুচিয় মনুষত্বে প্রবেশই আদমের দিব্যদেশচু্যতি । আবার যখন মানুষ সেই সদসৎ-বোধকে আয়ত্ত করিয়া, সেই শয়তান প্রলোভনকে উপেক্ষ পূর্বক পুনৰ্ব্বার বালকত্ব লাভ করিতে এবং স্বার্থক্ষয়ে মহাৰলির অনুকরণ স্থচিত করিতে পরিবে, অথবা রূপকবাক্যে, খৃষ্টশিষ্য যখন আত্মিক খৃষ্টের রক্তমাংস উদরস্থ করিতে সমর্থ হইৰে, তখনই তাহার পুনমুক্তি। ফলতঃ বালক, বালক ঘুচিয়া মানুষ হইলেণ্ড যদি নিত্য রাজ্যের অধিকারী হইতে চাহে, তবে আবার তাহাকে বালক না হইলে চলিবে না। বালক এবং প্রকৃত জ্ঞানী ইহাদিগের মধ্যে স্বভাবগত অন্ত কিছু প্রভেদ নাই ; প্রভেদ কেবল এই পৰ্য্যস্ত যে, বয়োবালক যে সে অজ্ঞান বালক এবং জ্ঞান-বালক যে সে সজ্ঞান বালক । আমাদিগের এই সংসারক্ষেত্রে সং-অসং সহ কৰ্ম্ম-সংগ্রামে, লাভের অঙ্ক কেবল শেষ বালকত্বে সেই সজ্ঞানতাটুকু। এই সজ্ঞানতার অনেক গুণ । অজ্ঞান বালক কাল-প্রবর্তনায় সহসা বিচলিত হইয়াছিল, কিন্তু সজ্ঞান বালক অনন্তকালের নিমিত্ত অটুট। অজ্ঞান বালক বিশ্বের প্রতি বিচারশূন্ত ; সজ্ঞান বালক বিশ্বের প্রতি পূর্ণ বিচার