পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.২৩e - গ্রীক ও হিন্দু। দক্ষ, অথচ তাহাতে শয়তানী বিকার ও বিকম্পনশূন্ত, অসৎ প্রতিরূপে বোধশূন্ত খ্ৰীষ্টীয় দিব্য দূতের অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ। সে দিব্য দূতেরও পতনের সম্ভাবনা আছে, কিন্তু ইহাদের আর পতন নাই। শয়তান আর প্রলোভনে ইহাদিগের মধ্য হইতে স্বদলপুষ্টিকরণে অসমর্থ। অসংকে ভেদ করিয়া সতের উদয় হইয়া থাকে ; এবং যে সৎ-বিশেয যে অসৎবিশেষকে ভেদ করিয়া উদয় হয়, সেই সৎসে আসতের নিকট একেবারে অনন্তকালের নিমিত্ত স্পর্শের অতীত হইয়া উঠে । অতএব অজ্ঞান হইতে সজ্ঞান বালকত্বে উপস্থিত হইলেই, খৃষ্টীয়রূপকে নষ্ট ইডেনের পুনরুদ্ধার হইয়া থাকে ; এবং এবার সে ইডেন হইতে শয়তান বিধ্বস্ত, দূরীভূত এবং চুর্ণশির । অবস্থাভেদে কথিতমত তারতম্য দৃষ্ট হইলেও তথাপি এ উভয় বালকত্বই দিব্যাবস্থাসম্পন্ন, সুতরাং সুখের । কিন্তু কি ভয়াবহ, ক্লেশকর এবং দুঃখসস্কুল তদুভয়ের মধ্যসাময়িক অবস্থা ! এক বালকত্ব লোপে অপর বালকত্বে উপনীত হওয়া পৰ্য্যন্ত, মানবের ইহা প্রকৃতই ইডেনচু্যত পতিতকাল ; উহাই প্রকৃত স্বার্থপূর্ণ সংসারী এবং মনুষ্য-অবস্থা। মানব এখন স্বীয় বুদ্ধিস্ফীত, আত্মগৰ্ব্বে ঘোরতর মোহাচ্ছন্ন ; প্রতি বিষয়ের জন্য আর এখন ঈশ্বরের উপর অকপট নির্ভরতাও নাই, সুতরাং নির্ভরতাজনিত শান্তিও নাই ; অথবা ঈশ্বরও, বলিতে গেলে, এখন আর তাহাদিগের প্রতি বিষয়ে পূর্বের ন্তায় তত্ত্বাবধারণ করেন না। শয়তানকে প্রতিদ্বন্দ্বিরূপে সন্মুখীন দেখিয়া, এবং রক্ষণীয় বস্তু হইতে অরক্ষণীয় বস্তু রক্ষণে প্রতারিত হইয়া , আত্ম-রক্ষণের প্রবৃ ক্তি-স্থত্রের বিকারে, মানব এখন সতত ঘোর স্বার্থবান, স্বায়ত্ত শক্তিতে স্ফীত, নিয়ত সংগ্রামরত, ং-সৰ্ব্বস্ব, আত্মবলদৃপ্ত, আত্মবুদ্ধিতে বৃহস্পতি, তর্কবুদ্ধিতে বিশারদ। অথবা এক কথায়, হীনপক্ষ-বোধ-বিক্ষুব্ধ ও স্বপক্ষ-সহায়তায় সন্দিহান