পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇ98 शौक.७ হিন্দু। দুর,” এই সাধারণ-উক্ত বাক্যটি কি.গৃঢ় সত্যপূর্ণ। তর্কদর্শনের কার্য্য ভাঙ্গণ ;–এই নিমিত্ত আমরা প্রায়ই দেখিতে পাইয়া থাকি যে, যে কোন জ্ঞানপৰ্য্যায়বিশেষের অবস্থা বিভ্রংসন দশাতেই তদ্বিষয়িণী ও তৎশ্রেণীর দর্শনবুদ্ধির উদয় হইয়া থাকে। জ্ঞান-সংসারের ক্রমোন্নতি হেতু, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার বিষয়ীভূত পুরাতন বিষয় সকল যখন অর্থশূন্ত হইয়া পড়ে, তখন আগে এই তর্কদর্শন উদয় হই, তাহার ধ্বংসকাৰ্য্য সমাধা করিয়া দেয় ; তাহার পর আত্মজ্ঞান ও মনস্তত্ত্বাদি আকারে তত্ত্ববিজ্ঞান আসিয়া তৎস্থানে নূতন বিশ্বাস্ত বিষয়ের নির্মাণ আরম্ভ করিয়া থাকে ; সেই নিৰ্ম্মাণের পূর্ণ শ্ৰীসাধন ধৰ্ম্মবিদ্যায় ! তত্ত্ববিদ্যা ধৰ্ম্মবিদ্যার তুলনায় যতই নিম্ন পৰ্য্যায়ে থাকুক, তথাপি “এ সংসারে সে মনুষ্যকে দুর্ভাগ্যবান বা অল্পভাগ্য বলিতে হইবে, যাহাকে তত্ত্ববিদ্যারূপী দ্বারস্থ না হইয়া ধৰ্ম্মবিদ্যায় অধিকারী হইতে হয় ; এবং তত্ত্ববিদ্যারূপ উপায় সহযোগে যাহার ধৰ্ম্মজ্ঞান পরিষ্কৃত ও পূর্ণতা প্রাপ্ত ন হইতে পায় । তত্ত্ববিদ্যারূপী দ্বার না হইয়া ধৰ্ম্মবিদ্যায় যে অধিকার, তাহা কখন দৃঢ় 'ব। অটল বা সৰ্ব্বাবয়বযুক্ত হয় না এবং তাহা ন হইলে, ধৰ্ম্মজীবনের পূর্ণতা পক্ষে৪ অবশু ক্রটি রহিয়া যায় ; সুতরাং অল্প আঘাতেই তাঁহা সহসা বিচলিত হইয়া পড়ে। মানব সংসারক্ষেত্রে প্রবেশ করিবামাত্র, যে ঘোরতর সদসৎ-জালে জড়িত হয় এবং অসৎ-সংস্রবে ষে দারুণ সন্দিগ্ধ অবস্থা প্রাপ্ত হইয়া থাকে, তাহা হইতে, একমাত্র .তত্ত্ববিদ্যার সহায়ত ভিন্ন, সৰ্ব্বাঙ্গীনভাবে । নিৰ্ম্মলতা প্রাপ্ত হওয়া যাইতে পারে না । কিন্তু এ কথা সকলে বুঝে না । পুনঃ ইহাও অনেকে বুঝে না যে, মানব আত্ম-প্রকৃতির উন্নয়ন ব্যতীত, উন্নত অবস্থা এবং ভাব, উভয় গ্রহণেই অক্ষম। কাহারও মুক্তি অন্তের উপর বরাতে, কেহবা কেবল তিলকছাপায় স্বর্গভূমি