পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S O9 গ্রীক ও হিন্দু। যথেষ্ট আছে বটে, কিন্তু বলা বাহুল্য যে, তাহারা কোন সাত্ত্বিক তত্ত্ববিস্তা বা কোন প্রকার যথার্থ বিদ্যারই প্রকৃত ধার ধারে না । কেহ বা পড়াপার্থী, মিল বা কোমৃতের বুলি বলিতে শিখিয়াছে—নিজের বুলি অবশুই নাই ; কেহ বা তত্ত্ববিদ্যার অপেক্ষ না রাথিয়াই অভিনব ধৰ্ম্মবিস্তার প্রচও অধিকারী,—অন্ততঃ মুখে । ইহার উপর অনুকরণপ্রিয়তা সৰ্ব্বত্র ; কাপটা অঙ্গভূষণ,—কপটতায় স্বার্থ সাধিব অথচ বলিব উহা ঈশ্বরাদিষ্ট ; বাহির নীতি, ভিতর নীতি ; বাহির মান, ভিতর মান—বাহদৃশুই সৰ্ব্বস্ব। ভ্রান্তবোধবিমূঢ় ! নিজে নিজে এত ঠকিয়াছ, এত ঠকিতেছ, তথাপি তোমার চৈতন্ত হইল না ! তোমার আবার নীতি—তোমার আবার ধৰ্ম্ম ? নীতিধৰ্ম্মের তুমি কি ধার ধার ? পেনালকোড তোমার বেদ, স্বার্থ তোমার গয়া-গঙ্গা, ‘পাঁচজন তোমার গুরু, এবং বাহ দৃশু তোমার অলঙ্কার। ইহাতে যে গতি তোমার প্রাপ্তব্য, তোমার জন্ত তাঁহাই প্রস্তুত হইয়া রহিতেছ ! কিন্তু যাহাঁদের নীতি ও ধৰ্ম্মে আস্থা আছে এবং প্রকৃত তত্ত্বাশ্বেষী ছাত্র যাহারা, তাহাঁদের ভাব ওরূপ নহে। তাহারা সহসা কোন বিষয়ে প্রবৃত্ত হয় না এবং একবার প্রবৃত্ত হইলে আর তাহ পরিত্যাগও করে না। তাহার তত্ত্বাদি সহযোগে আত্মপরিশোধনপূৰ্ব্বক নিজ প্রকৃতিকে এরূপ উন্নীত করিয়া থাকে, যেখান হইতে নীতিচু্যত হওন বা দুর্নীতিক্ষেত্রে অবতরণ তাহীদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হইয় পড়ে। মানুষ যাহা কিছু বলে বা করে, তাহা তাহার প্রকৃতিমন্থনে উদিত হয়। সংসারপ্রবেশকালীন, নানা প্রতিকূল কারণের তাড়নায়, প্রকৃতিতে যে কৃত্রিমতা ও বিকৃতি আসিয়া বিজড়িত হইয়া থাকে, স্তত্বজ্ঞানাদি সহযোগে সেই কৃত্রিমতা ও বিকৃতি