পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있8e গ্রীক ও হিন্দু। প্রথমটির আতিশয্য অবস্থাতেই নাস্তিকতা উপস্থিত হইয় থাকে। এবং তাহা হইতে, প্রকৃতি-বহুল মানবকুলের অধ্যয়নভেদে, সৰ্ব্বদেশে এবং সৰ্ব্বসময়ে, তত্ত্ববিদ্যা আর একপ্রকার দ্বিবিধ বিভাগে বিভাজিত হয় ;—তাহা আস্তিকতা ও নাস্তিকতা । সামাজিক তত্ত্ব সৰ্ব্বদা প্রত্যক্ষ এবং আনুষ্ঠানিক হওয়ায়, নাস্তিকতা তথায় বড় তাল পাইয়া উঠে না ; কিন্তু জ্ঞানতত্ত্বে ইহার দৌরাত্ম্য অত্যন্ত বেশী। অতএব আমাদিগকেও বাধ্য হইয়া জ্ঞানতত্ত্বকে আস্তিকতা ও নাস্তিকতা ভেদে আলোচনা করিতে হইতেছে ; এবং এই নাস্তিকতা ও আস্তিকতাভেদে আলোচনা হেতু, আর তর্কদর্শন এবং তত্ত্ববিজ্ঞান লইয়া পৃথক বিভাগপূর্বক আলোচনার আবশুক হইবে না, যেহেতু নাস্তিকতা ও আস্তিকতাই তদুভয়ের অবলম্বন ও শেষ ফল । হিন্দুর তত্ত্বসংসারে মাধবাচর্য্যের সর্বদর্শনসংগ্রন্থে যতগুলি দর্শন ও তত্ত্ববিজ্ঞান আলোচিত হইয়াছে, এবং তাহ ছাড়া অপেক্ষাকৃত নগণ্য আরও যে সকল তত্ত্বগ্রন্থ পাওয়া যায়, তাহার প্রায় সকলই আস্তিকতায় পরিপূর্ণ। কেবল এক চাৰ্ব্বাককেই পূর্ণভাবে নাস্তিক-তত্ত্ব মধ্যে গণন করা যায়। অনেকে সাস্থ্যকে নিরীশ্বর সাক্ষ্য বলিয়া নাস্তিক-তত্ত্ব মধ্যে গণনা করিয়া থাকে ; কিন্তু বস্তুতঃ দেখিতে গেলে, সাংজ্যকে নাস্তিকতত্ত্ব বলা যায় না ; তবে উহা যে জটিল অস্তিকতা, তাহ মুক্তকণ্ঠে স্বীকার্য্য । গ্রীকদিগের মধ্যে এই নাস্তিকতা ও আস্তিকতা ভাগ করিয়া লইতে যাওয়া একটু কঠিন। সে যাহা হউক, যদি কেবল লোক্যতীত শক্তিতে বিশ্বাস থাকিলে আস্তিকতা এবং তাঁহার বৈপরীত্ত্বে নাস্তিকতা বলা স্বায়, তবে গ্রীকদিগের অস্তিক তত্ত্বের উৎপত্তি থেলিস হইতে, স্বদিও তাহ নিতান্ত অস্কটভাবে বটে। আর নাস্তিক তত্ত্বের প্রকাষ্ঠ