পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8३ গ্রীক ও হিন্দু। হিন্দু নিরন্তর বুঝাইতেছেন এবং বুঝিতেছেন যে, এই সংসারকে যে প্রকারেই মুখের করিতে চাও না কেন, তাহা হইতে দুঃখের নিবৃত্তি একেবারে কখনই হইবে না ; অতএব যে কোন উপায়ে হউক, পুনর্জন্মরহিত হইয়া এই পৃথিবীর সহ অনন্তকালের জন্ত সংস্রবশুন্ত হইতে পারিলেই পরম পুরুষার্থ। গ্রীক বলিতেছেন, তাহা নহে ; স্বভাব সহ আত্ম-প্রকৃতির সামঞ্জস্ত দ্বারা সদ্ভাবে ইহসংসারকে অতিবাহিত করিতে সমর্থ হওয়াই পরম পুরুষাৰ্থ। অতএব হিন্দুর উদেশু-ফল পরসংসারে, গ্রীকের সেই স্থলে তাহা ইহসংসারে। হিন্দুর তত্ত্ব, প্রায়ই ধৰ্ম্মবিদ্যার বিচার ও বিশ্লেষণে আত্মবোধ ; আর গ্রীকের তত্ত্ব, যে কোন বিষয় সম্বন্ধে বিজ্ঞতামাত্র। সুতরাং উভয়ের উদ্দেশ্য এবং আকারে অনেক অন্তর। কেবল প্লেটোতে কথঞ্চিৎ দেখিতে পাওয়া যায় যে, তত্ত্ববিদ্যা এবং তদনুসরণের ফল পরসসার সহ সম্বন্ধবান। অন্তান্ত তত্ত্ববিদেরাও পরসংসার লইয়া কিছু না কিছু আলোচনা না করিয়াছেন এমন নহে ; কিন্তু অপেক্ষাকৃত বিস্তৃত ও পরিষ্কার ভাবে আলোচনা একমাত্র প্লেটোতেই এবং প্লেটোতেই কেবল উচ্চ আকাঙ্ক্ষণ ও উচ্চ উদ্দেশ্বের অস্তিত্ব দেখিতে পাওয়া যায়। অনন্তর উভয় জাতির জ্ঞানতত্ত্ব হইতে এই কয়ট মুখ্য তত্বের বিষয় আলোচনা করা যাউক —এই স্বষ্টি কোথা হইতে উৎপন্ন, বিষয় বুঝাইত, অর্থাৎ দুঃখ-ক্লেশ-স্বখাদিতে পূর্ণ অনাস্থাভাব। কিন্তু শিষ্যবৰ্গ বে সেই শিক্ষা সৰ্ব্বথা কাৰ্য্যে পরিণত করিতে সমর্থ হইয়াছিল, তাহা বড় বোধ sa al i fosfērzs" ( Dionysius the Deserter ) vērsta Ezra পীড়াজনিত ক্লেশ বিস্মৃত হইতে না পারায়, গুরুর শিক্ষা তাহাকে শেষে হাওয়ায় উড়াইতে হইয়াছিল। সেই হইতে স্বথামুসরণই পুরুষাৰ্থ বলিয় তাহার দ্বারা ঘোষিত হইত। মানব যে পৰ্য্যস্ত ভুক্তভোগী না হয়, সে পর্যাপ্ত কতমতেই ন। প্রলfপ রটনা করিয়া থাকে ]