পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। وع 8 جة সহজে সন্তুষ্ট ও সহজে বিষয় গ্রহণ করিতে সমর্থ হইতে পারিত বটে, কিন্তু সেরূপ অবধারিত বিষয় সকলের মধ্যে, বস্তুত: সত্যের ভাগ অতি অল্প পরিমাণেই থাকার কথা ও থাকিত । প্লেটোর গুরু সক্রেটিস, এবং প্লেটো, উভয়ে এ প্রথাকে সমীচীন জ্ঞান না করিয়া, কোন চলিত। মতামতকেই ততক্ষণ সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতেন না, যতক্ষণ বিচারের দ্বারা তাহদের সত্যতা অখণ্ডনীয়রূপে প্রমাণিত না হইত। এরূপ প্রণালীর অনুসরণে এই ঘটিত যে, চলিত মতামত বিধ্বস্ত ও তাহার উপর বিপুল সন্দেহ আসিয়া উপস্থিত হইত। চলিত মতামত সকলকে এইরূপে দূষিত বলিয়া প্রমাণ করিতে থাকাই, সক্রেটিসের উপর আথিনীয়গণের বিরাগ উপস্থিত হওয়ার পক্ষে মুখ্যতম কারণ ; কারণ, সাধারণ লোকে ভাবিত, যে সক্রেটস্ বুঝি কি সৰ্ব্বনেশে কুতর্ক উপস্থিত করিয়া চলিত সমস্ত বিষয়কে ভাঙচুর করিতে বসিয়াছে। দ্বিতীয়তঃ, সাময়িক অনেকানেক সফিষ্ট নামধেয় বিজ্ঞ এরূপ তর্কপ্রণালীতে বিধ্বস্ত ও হত্যুমান হওয়ায়, (৪) সক্রেটসের মৰ্ম্মান্তিক শক্রও (৪) গ্রীকভূমিতে বিজ্ঞগণকে সফিষ্ট বলিত। সফিষ্ট শব্দে জ্ঞানী। ভারতে আগত আলেকজাণ্ডারের সহচর গ্রীকেরা, ভারতীয় ব্রাহ্মণবিজ্ঞগণকেও, সফিষ্ট্র শব্দযোগে, গিম্নো-সফিষ্ট ( Gymnosophist ) নামে নামিত করিয়াছে । গিম্নো, সংস্কৃত জ্ঞান শব্দের গ্রীকাকারে অপভ্রংশ ; অতএব গিম্নো-সফিষ্ট্র অর্থে জ্ঞানবিজ্ঞ বা জ্ঞানবাদী । শ্রীতি এবং বেদাস্ত অনুসারে, জ্ঞানই মোক্ষের কারণ এবং ব্রাহ্মণের যথাকালে যোগাশ্রমে প্রবেশ করিবার পর নিয়ত জ্ঞানেরই অনুশীলন করিতেন ; স্বতরাং জ্ঞানী বা জ্ঞানবাদী নামে তাহারা সর্বদা বিখ্যাত ছিলেন । সে যাহা হউক, সক্রেটিসের পূৰ্ব্বে গ্রীকভূমিতে, সফিষ্ট বলিলেই জ্ঞানী ও তত্ববিদ বুঝাইত এবং আদরও তাঙ্গদের অতিশয় ছিল । কিন্তু আদর যতট, প্রকৃত জ্ঞানের ভাগ তাঁহাদের ততটা দেখা যায় না এবং অবশেষে তাহারা ঘোরতর কুতর্কবাদী ও ভ্রান্তজ্ঞানের গুরুমহাশয় হইয়া উঠিয়াছিল । সক্রেটস্ উহ্য দর্শনে, তাহাদিগের দৰ্প চূর্ণ ও তাহাদিগকে বিষম বিধ্বস্ত করেন। ইহাতে সক্রেটিসের মর্মাস্তিক শক্ৰ যদিও যথেষ্ট ফুটিল এবং এমন কি, সক্রেটিসকে