পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । з Ф є আশ্রয়ে এবং অবলম্বনে স্থিত ; অথবা হিন্দুতত্ত্বানুসারে, বহিশচক্রকে জ্ঞানাত্মা এবং অন্তশ্চক্রকে বিজ্ঞানাত্মা বলিলেও বলা যাইতে পারে। পরমাত্মা শুদ্ধসত্ত্ব, কিন্তু প্রকৃতি বিকার, সুতরাং এই বিকারহেতু বিপরীত গতির জন্য প্লেটোর অস্তুশ্চক্রের বামাগতি কল্পনা সঙ্গত বলিলে বলিতে পারা যায়। তাহার পুর অন্তশ্চক্রের বিভিন্ন বিভাগ, বৈচিত্র্য ও ইন্দ্রিয়-গ্রাহ-বিষয়প্রাণত প্রভৃতি সহ, প্রকৃতির ভেদ ও বৈকারিক স্বাক্ট প্রভৃতির যথেষ্টই সাদৃশ্য রহিয়াছে। পুনশ্চ, পরমাত্মা ও প্রকৃতি, এ উভয়ের মধ্যে যদিচ প্রকৃতিই একমাত্র ক্রিয়াশীলা বটে, তথাচ কিন্তু প্রকৃতি পরমাত্মার সহায়তা ব্যতীত স্বষ্টি করণে অক্ষম ; অর্থাৎ পরমাত্মভাস প্রকৃতিতে যেরূপ যেরূপ প্রতিবিম্বিত হয়, প্রকৃতি কেবল তাহারই বৈকারিক প্রচারে প্রপঞ্চকে প্রকাশিত করিতে সমর্থ হইয়া থাকেন। এতৎ সাদৃশ্যে প্লেটোও বলিতেছেন যে, পরমেশ্বর যাহা কিছু স্বষ্টি করেন, তাহা স্বীয় অনুরূপতা অনুসারেই করিয়া থাকেন এবং পরমেশ্বর স্বয়ংই এই ব্ৰহ্মাওরূপ স্থষ্টির আদর্শ । (১৫) আবার দেখ, প্রকৃতিতে পতিত পরমাত্ম ভাস প্রতিবিম্বিত হওয়ায় যখন স্বঃ, তথন স্বল্প পদার্থের প্রকৃত সত্ত্বাংশ যাহা, তাহ পরমাত্মসত্তায় নিহিত এবং যাহারা পুনঃ সেই সত্ত্ব হইতে বহিমুখগামী হয়, তাহারাই জগতে পাপের সঞ্চার করিয়া থাকে। পরমাত্মভাস যাহা, তাহাই সৎ, এবং প্রকৃতিজ আধিভৌতিক প্রপঞ্চ যাহা কিছু, তাহা অসৎ ; পুনঃ পরমাত্মভাস অভেদ, অব্যয়, সত্য ও নিত্য স্বরূপ, কিন্তু আধিভৌতিক প্রপঞ্চ সকল বিষয়েতেই তাহার বিপরীত ; প্রকৃতিজ পদার্থ বোধ, বিজ্ঞানমাত্র ; যথার্থ জ্ঞান তাহাতে তখনই পাইতে পারা যায়, যখন বিজ্ঞানের সাহায্যে তন্নিহিত পরমাত্মসত্তারূপ জ্ঞানের উপলব্ধি (>4) Tim. X. *جاك ك