পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । २@ १ হইতেছে বটে, কিন্তু প্রকৃত বস্তু নহে, বস্তুভ্রম মাত্র । সুতরাং বৈদন্তিক রজ্জতে সর্পজ্ঞানের ন্যায়, নিত্যভাবের উপর জননভাবের অধ্যাসক্রমে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ বিষয় অর্থাৎ এই পরিদৃশ্যমান পদার্থ এবং স্বল্পজ্ঞান হইয়া থাকে। এখানে পুনঃ প্লেটোর আত্মীয় স্থষ্টির অধ্যাস মিলাইয়া দেখ । জ্ঞানাত্মা রূপ আত্মার বহিশচক্র নিত্যভাব এবং বিজ্ঞানাত্মারূপ আত্মার অন্তশ্চক্র জননভাব। কি খণ্ড কি সমূহ, যাবতীয় পদার্থরূপ, নিত্যভাবের উপর জননভাবের অধ্যাস বশতঃ উৎপন্ন হওয়ায় প্রত্যেক পদার্থমূলেই নিত্যসত্ত', অথবা প্লেটোর কথায় আইডিয়া নিহিত রহিয়াছে। তাবৎ খণ্ড পদার্থের খণ্ড আইডিয়াসমূহ, নত উন্নত পৰ্য্যায়ক্রমে গ্রথিত, সংযোজিত ও সমাবিষ্ট হইয়া, শেষে মহাসমষ্টিযুক্তে ঐশ্বরিক মহাসত্তাস্বরূপে মহা আইডিয়া সংজ্ঞায় খ্যাত হইয়াছে। অতএব মানবের পক্ষে সেই ঐশ্বরিক সত্তার উপলব্ধি এবং তাহার অনুভবসুখে সামর্থ্য লাভ করিতে হইলে, তাহ পর পর পর্য্যায়ক্রমে একমাত্র আইডিয়াঙ্গানের অনুসরণে সংসিদ্ধ হইতে পারে। ভাল কথাই ৮ কিন্তু জৰ্ম্মাণ পণ্ডিত রিটার, প্লেটোর আইডিয়া সম্বন্ধে এক স্থানে এরূপ মত ব্যক্ত করিয়াছেন ;—“প্লেটো এই দৃশ্যমান জগতের অস্তিত্বতত্ত্ব অবধারণ করিতে গিয়া, দিগ্বিদিকশূন্ত ভাবে একমাত্র আইডিয়া দ্বারা সেই অবধারণ-কার্য্যের পূর্ণ সংসাধনের চেষ্টা পাইয়াছেন। এ হেতু অদৃশ্য হইতে এই জগতকে দৃশু ক্ষেত্রে আনয়নের জন্ত র্তাহার যে সেই চেষ্টা, তাহাতে বহু পরিমাণেই অক্ষুট ও অপূর্ণভাব রহিয়া গিয়াছে।” ইত্যাদি। ইউরোপীয় আইডিয়া বোধের ইহাও যে একটা পরিচয়আদর্শ, তাহাতে সন্দেহ নাই। বেদান্তজ্ঞানে যাহাঁদের প্রবেশ নাই, সেরূপ লোকে রিটারের ন্যায় যদি প্লেটোতে সমস্তই অস্ফুট ও অপূর্ণ দেখিতে পায়, তাহাতে তাহাদিগকে তত দোষ দিতে পারা যায় না। ১৭