পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७२ Gयौक ७ झ्नूि । মিৰ্ম্মিত, স্বাক্ট-আত্মা নিৰ্ম্মাণানান্তে তাহার যে কতকটা অংশ অবশিষ্ট ছিল, তাহাকেই নানাখণ্ডে বিভাগ ও বিষ্ঠাসপূর্বক প্রতি জীবকে আত্মাবিশিষ্ট করা হইল। বলিতে পার বাঞ্ছারাম, ইহাতে কি বুঝাযাইবে ? পুনশ্চ কালস্থষ্টি-কথনে প্লেটাে বলিতেছেন যে, সংখ্যাতত্ত্ব অবলম্বন করিয়া এক এবং অদ্বৈত মূৰ্ত্তির মধ্যে তিনি বহুত্বের সমাবেশ করিলেন । (২০) এ সকলের দ্বারা বোধ করি একমাত্র এই কথা অনুমিত হইতে পারে যে, সমস্ত স্বই এক অদ্বৈতমূৰ্ত্তি এবং তন্নিহিত আত্মা যিনি, তিনিও এক ও অদ্বৈত সত্তা বটে ; কিন্তু সাংখ্যাতত্ব সেই অদ্বৈত স্বাক্টতে ব্যষ্টিভাব, এবং প্রতিজীবাত্মা সুতরাং সেই মহান অদ্বৈত স্বাক্টআত্মার খণ্ড বা ব্যষ্ঠিরূপ মাত্র। ফলতঃ যতদূর দেখা গেল, তাহাতে ইহা প্রতীতি হইতেছে যে, বহিশছক্র-রূপকাত্মক নিত্যভাব বা জ্ঞানাত্মা যাহা, ব্যষ্টি-স্বষ্টি সম্বন্ধে তাহাই আদর্শ এবং আত্মিকতা ও ভাবাদির দাতা ; আর অন্তশ্চক্র রূপকাত্মক জননভাব বা বিজ্ঞানাত্মা যাহা, তাহ সেই সকল আদর্শাদি অনুসারে বিভিন্ন স্থল স্বাক্টর কারয়িত। প্রারম্ভভাগে আত্মায় যেরূপ স্বষ্টিপ্রকরণ অধ্যাসিত এবং তদুত্তর ভাগে স্থল স্বষ্টিতে সেই প্রকরণ যেরূপ প্রয়োজিত হইতে দেখা গেল, তাহাতে এখানেও হিন্দুতত্বের সহ বহুল সাদৃশ্য দেখিতে পাওয়া যায়। প্রথমতঃ, স্বষ্টি মহাত্মাবান মহাজীবস্বরূপ কল্পনা করায়, হিন্দুর বিরাটমূৰ্ত্তি বা বৈরাজতত্ত্ব সহ কতকটা সাদৃশু আসিয়া পড়িয়াছে। দ্বিতীয়তঃ কি জীব কি জড় উভয় স্বষ্টিতে যে নিত্যভাবের একত্ব ও জননভাবের বহুত্ব এবং জননভীবজন্য (২•) Tim. XIV. ইউরোপীয়ের সংখ্যা অর্থে যে কি বুঝিয়াছেন, তাহ। স্পষ্টরূপে অনুভব করিতে পারিলাম না। কিন্তু সংখ্যা অর্থে যে হিন্দুর তত্ত্বেয়ং ব্যষ্টিভাব ও ব্যষ্টিরূপতা, সে পক্ষে সন্দেহ অতি অল্পই। সে অর্থ ভিন্ন, অন্ত কোনরূপেই উহার অর্থ হওয়ার সস্তবনা দেখা যায় না ।