পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । ર૪ হইয়া ; আহার বিহার বিলাস বিস্তারপূর্বক কালযাপন করিতেন। ভিন্নতার নামমাত্রও পরিজ্ঞাত ছিল না । কিন্তু কোন সংযোগই চিরদিনের নহে! পিতা পুত্রে পৃথক হইয়া থাকে, ভ্রাতায় ভ্রাতায় পৃথক হইয়া থাকে, সুতরাং এ সংযোগও চিরদিন থাকিবার নহে। যে বিধাতুনির্দিষ্ট কার্য্যপালন জন্য এতদিন ইহারা সংযোগবদ্ধ হইয়া বাস করিতেছিল, এতদিনে তাহার সমাধা হইয়া আসিল । সংযোগে পালনযোগ্য ন্যস্ত-কাৰ্য্য সমাধা হইলেই, একক হউক বা অপর নবসংযোগে হউক, নূতন আদিষ্ট কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইতে হইবে। স্থতরাং পূৰ্ব্বসংযোগ আর রক্ষা হইবার কথা নহে । কালবশে ইহাদিগেরও সংমিলন ভাঙ্গিল । মহন্ধুত্তেজক অভাবের বৃদ্ধি হইল, স্বস্থান প্রচুর বোধ হইল না ; অথবা যে কোন কারণের উপস্থিতি জন্য বা যাহাকে উপলক্ষ্য করিয়া হউক, আবশ্বক বোধে, পার্থক্য অবলম্বনপূৰ্ব্বক, ইহারা সুখলালসায় স্বস্থান পরিত্যাগ করিয়া যদৃচ্ছ যথাভিগমনে প্রবৃত্ত হইল। হিন্দুগণ অপেক্ষাকৃত অল্প ভ্রমণেই হলস্কন্ধে, ধনুৰ্ব্বাণহন্তে, বিশাল হিমাদ্রিচূড়া লঙ্ঘন করিয়া, পুণ্যসলিলা সরস্বতী এবং সপ্তসিন্ধুতটে অবতীর্ণ হইলেন। অন্য দিকে গ্রীকগণ বহুতর নদনদী পৰ্ব্বত বন ও দেশ অতিক্রম করিয়া, বহুরক্তপাতে, বহুকষ্টে ও বহুশ্রমে, বহুদূরভ্রমণাস্তে, সমুদ্রতীরবর্তী হেলাসভূমিতে পদার্পণ করিলেন। স্ব স্ব উপনিবেশস্থলে পদার্পণমাত্রেই শান্তিলাভ, উভয়ের মধ্যে কাহারও ভাগ্যে বিধাতা লিখেন নাই। উভয়ে উভয় দেশে পদাপর্ণমাত্র দেখিলেন যে, তত্ততইনের আদিম অধিবাসিগণ উভয়েরই নিকট প্রতিদ্বন্দ্বিভাবে দণ্ডীয়মান –ভারতে প্রতিদ্বন্দ্বী, দৈত্যকুল ; হেলাসে পিলাসী। উভয়েই স্বীয় স্বীয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে দমন করিয়া এবং দাসত্বপদে আনিয়া,