পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ * औक ७ श्लूि । প্রকৃতিই পুরুষের শক্তি। এক্ষণে পুরুষের অন্বয়ে প্রকৃতি, প্রকৃতির অন্বয়ে স্থষ্টি ও সুতরাং পরস্পর অছেদ্য সম্বন্ধ ও আশ্রয়-আশ্রিত ভাব হেতু, জড়াজড় এবং আত্মা ও ভূত সমস্ত লইয়া এক মহান বিরাট ও বিশ্বরূপ এবং অদ্বৈত মূৰ্ত্তি বলা যায়। নতুবা অদ্বৈততত্ত্ব বলিলে অনেকে যেরূপ বুঝিয়া থাকে, সেরূপ এই স্বষ্টিমূৰ্ত্তিকেও ঈশ্বর বলে না অথবা প্রতি ব্যষ্টি আত্মা, পরমাত্মায় পরমগতি হেতু মিশিলেও, স্বীয় অস্তিত্বশূন্ত হয় না। যেমন আধিভৌতিক সংসারে রূপেরই পরিবর্তন, পদার্থতত্ত্বে ধ্বংসস্থষ্ট্যাদি নাই ; আত্মিক সংসারেও সেইরূপ জীবত্বেরই পরিবর্তন, নতুবা আত্মার স্বষ্টিধ্বংসাদি নাই। জীবাত্মাও, পরমাত্মার ব্যষ্টিভাবতা হেতু, নিত্য এবং অস্বল্প পদার্থ। সমষ্টিভাবজন্য পুরূষের সর্বজ্ঞতা ও সম্পূর্ণতা হেতু, প্রকৃতি তাহার বশ এবং পুরুষে সেই প্রকৃতিক্রিয়ার অধ্যাস হেতু, পুরুষের কর্তৃত্ব বা ঈশ্বরত্ব । আর ব্যষ্টিত্ব ভাবজন্ত অজ্ঞতা ও অপূর্ণতা হেতু, ব্যষ্টি আত্মা মহাপ্রকৃতির বগু এবং সেই প্রকৃতির ক্রিয় তাহাতে অধ্যাসিত হওয়ায়, জীবের কৰ্ম্মত্ব এবং আশ্রিত ভাব। পুনঃ ব্যষ্টি আত্মার ব্যষ্টি প্রকৃতি যতটুকু, তাহ তাহার বশেই আছে এবং সেই বহুত জন্ত সে, আশ্রিত এবং কৰ্ম্মস্বরূপ হইয়াও, স্বেচ্ছাচালনে ও স্বেচ্ছা মত কৰ্ম্ম আচরণে সমর্থ হয়। প্রকৃতিবশে পুনঃ পুনঃ আবৰ্ত্তিত হওয়াই, জীবের জন্ম মরণ মুখ দুঃখাদি অবস্থাভেদ পুনঃ জ্ঞানযোগে সমষ্টিমূৰ্ত্তি পুরুষকে আশ্রয়ের দ্বারা সমষ্টি প্রকৃতিক্রিয়৷ হইতে উত্তীর্ণ হওয়ার নামই হিন্দুতত্ত্বানুসারে মোক্ষ । যতদুর দেখা যায়, তাঁহাতে কি ধৰ্ম্ম কি তত্ত্ব, উভয় সম্বন্ধী যাবতীয় দুরূহ ও কুট প্রশ্ন, কেবল এই এক অদ্বৈতবাদের সাহায্যেই মীমাংসিত হইতে পারে, নতুবা অন্য কোনরূপে হইতে পারে কি নী সন্দেহ ।