পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব Հ Գթ বুঝাইয়াছিলেন, “এত ভাবনা কি জন্ত বাপু ! নরকের রাস্ত সকল স্থান হইতেই সমান দুর।” থেলিসও একজন ঐরুপ কতকটা নির্লিপ্ত সংসারী ছিলেন। ইহার সম্বন্ধে এরূপ কথিত আছে যে, যৌবনে ই হার জননী বিবাহ করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন, তাহাতে তিনি উত্তর করেন—“এখনও বিবাহের সময় হয় নাই।” আবার যৌবন অতিবাহিত হইয়া গেল, পুনৰ্ব্বার অনুরোধ করায় উত্তর করেন— “বিবাহের সময় অতীত হইয়া গিয়াছে।” সুতরাং এ জীবনে আর বিবাহ করা হইল না ! - গ্রীসীয় প্রায় যাবতীয় তত্ত্ববিদের মতে মনুষ্যজীবনের উদ্দেশুতত্ত্ববিদ্যা অনুশীলন দ্বারা জ্ঞানলাভে জ্ঞানী হওয়া । জ্ঞানীর পক্ষে পিটাকসের উপদেশ–“পরিমিত আচারী হইয়া পুণ্যচেতা হইবে ; এবং সত্য, শ্রদ্ধা, চতুরতা, সামাজিকতা এবং শ্রমশালিত্ব লাভ করিবে । আবিষ্টলের মতে আত্মিক পবিত্রতা সাধনপূর্বক জ্ঞানচর্চার দ্বারা সুখী হওয়াই মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য । সুখী কেবল ত্ৰিবিধ সতের সাধনে হইতে পারে। প্রথমতঃ আত্মিক সং, যথা জ্ঞানাদি ; দ্বিতীয়তঃ দৈহিক সৎ, যথা স্বাস্থ্য, বল, সৌন্দৰ্য্যাদি ; তৃতীয়তঃ বাহিক সৎ, যথা আভিজাত্য, যশ, ধনাদি ; মানব এই ত্রিবিধ সতের আশ্রয় ভিন্ন, কেবল একমাত্র আত্মিক সতের সহায়ে সুখী হইতে পারে না । আরিষ্টটল বলেন, জ্ঞানী হইলেই যে সাধারণ মানবীয় বৃত্তি সমস্তকে অতিক্রম করিতে পারা যায়, এমন নহে ; তবে অজ্ঞানী হইতে জ্ঞানীর পৃথকত্ব কেবল এইমাত্র যে, জ্ঞানীরা সেই সকল বৃত্তি পরিমিতরূপে চালনা করিয়া থাকেন। வி জিনোর সাম্প্রদায়িকের জ্ঞানীর এরূপ বর্ণনা করিয়া থাকেন – “যাহারা জ্ঞানী, তাহারা সৰ্ব্বদা দেবতার প্রতি ভক্তিসংযুক্ত এবং