পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব। Sb○・ দর্শনগুলি সম্বন্ধে সেরূপ নহে। তাঁহাদের সাধন-প্রণালী প্রভৃতি শ্রীতি হইতে কিয়দংশে বা বহুলাংশে রূপান্তরযুক্ত থাকায়, ধৰ্ম্মগ্রন্থস্বরূপে প্রায়ই অধীত হয় না, প্রায়ই বিদ্যাগ্রন্থস্বরূপে অধীত এবং সাধারণ বিদ্যাশিক্ষাস্থলে কেবল শিক্ষার অঙ্গবিশেষরূপে গৃহীত হইয়া থাকে। এই সকল গ্রন্থ ভক্তিপূৰ্ব্বক কথন কখন অধীত না হয়, এমন নহে, কিন্তু সে ভক্তি সম্পূর্ণত সাম্প্রদায়িক। সাম্প্রদায়িক ভাবে যে সকল তত্ত্বগ্রন্থ অধীত ও ভক্তিপূৰ্ব্বক গৃহীত হয়, তাহদের মধ্যে সাঙ্খ্যদর্শন সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রধান। এ দিকে পুনঃ বেদান্তের নিয়ে, পাতঞ্জলের যোগমীমাংসা এবং জৈমিনীর ধৰ্ম্মমীমাংসাও, সৰ্ব্বসাধারণ কর্তৃক ধৰ্ম্ম । গ্রন্থস্বরূপে ভক্তিপূর্বক গৃহীত হইয়া থাকে। এক্ষণে গ্রীক এবং হিন্দু এ উভয় জাতির তত্ত্ববিদ্যা তুলনা করিলে, স্পষ্টতই দেখিতে পাওয়া যায় যে, গ্ৰীক তত্ত্ববিদ্যার মুখ্য উদ্দেশু, জ্ঞানকে সুমার্জিত করিয়া ইহজীবন যাহাতে মুখস্বচ্ছনে অতিবাহিত হইতে পারে, তাহার উপায় সাধন করা । ফলতঃ সে বিষয়ে যতট, পরজীবন বা পারলৌকিক তত্ত্ব-নিরূপণ বা 'মানবজীবনের নিগুঢ় অর্থায়সন্ধানের প্রতি ততটা লক্ষ্য নাই, অথবা তাহাতে পার্শ্বদৃষ্টিমাত্র লক্ষিত হইয়া থাকে। গ্রীকতত্ত্ববিদ্যা, প্রকৃত প্রস্তাবে, ইহলৌকিক মুখামুসন্ধানতত্ত্ব। তদন্ততর বিষয়ের আলোচনায় যদিও অনেক গ্রীকতত্ত্ববিৎ হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন, সন্দেহ নাই ; কিন্তু সে সকল, ইহলৌকিক স্বচ্ছন্দতার সান্নিধ্যে অপেক্ষাকৃত নিম্নতর পদবীপ্রাপ্ত বলিয়াই যেন अन्नमिड ङ्ध्र ! বটে, কিন্তু উহার তত্বপ্রকরণ হিন্দুশাস্ত্র ও ধৰ্ম্মের হাড়ে হাড়ে প্রবিষ্ট হইয়া গিয়াছে । পৌরাণিক দেবতত্ত্বের প্রায় অধিকাংশভাগ সাখ্যতত্ত্বের রূপক । আধুনিক হিন্দুধৰ্ম্মসংসারে সাথ্যের প্রকৃতি ও পুরুষের প্রভুত্ব যত বেশী, এত বোধ করি অীর কাহারও নহে ।