পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাৰ । Skyసె বুঝিত যে, জাতীয় উন্নতি ব্যতীত নিজের কোন উন্নতি সম্পূর্ণাবয়ব হইতে পারে না এবং নিজের কোন উন্নতি করিলেও জাতীয় উন্নতির অভাবে তাহ স্থায়ী হয় না । গ্রীক, ব্যক্তিবিশেষের হিতের ভার ( সেও যদি স্বজাতি হইত ) রাজশাসনের উপর নিক্ষেপ করিয়া, নিজে জাতীয় হিতের নিমিত্ত উত্তেজিত হইয়া ফিরিত । কি ধৰ্ম্ম, কি সামাজিক, কি জাতীয়, সকল কাৰ্য্যেই, গ্ৰীক এককানুষ্ঠানের সৰ্ব্বতেভাবে ও সৰ্ব্বদা বিরুদ্ধবাদী ছিল। বলা বাহুল্য যে, ইহাদের ধৰ্ম্মকাৰ্য্যও সামাজিক ও সামাজিকতাবিধায়ক। । উপরে যেরূপ আলোচিত হইল, তাহাতে দেখা যায় যে, হিন্দুর হিতব্ৰতের ক্রিয়াস্থলী অতি সঙ্কীর্ণ এবং গ্রীকের ক্রিয়াস্থলী তাহার তুলনায় অতিশয় বিস্তার প্রাপ্ত হইয়াছে। হিন্দু যেটুকু হিত করেন, তাহা অবশ্য গ্রীকের তুলনায় যে অপেক্ষাকৃত অতিশয় নিঃস্বার্থ ও অহৈতুকী, তাহাতে সন্দেহ নাই ; কিন্তু সেই হিত জাতীয় অন্বয়ে সাধিত না হওয়ায়, সমাজ তাহাতে উপকারের পরিবর্তে কতকগুলি অকৰ্ম্ম, আলস্তপ্রিয় ও পরকৃতহিতপ্রার্থীর দ্বারা ভারাক্রান্ত হইয়া পড়িয়াছে । গ্ৰীক সেরূপ অকৰ্ম্ম শ্রেণী হইতে সৰ্ব্বাংশে রক্ষিত বলিলে অত্যুক্তি হয় না। এখনও, সেই সমান কারণের উপস্থিতি হেতু, হিন্দুসমাজ অকৰ্ম্ম দলের জালায় জালাতন হইয়া ফিরিতেছে । ইহলৌকিক বিষয়ের প্রতি হিন্দু, কিছুমাত্র স্বার্থপর না হইলেও, অমুষ্ঠানদোষে সাধারণ ও জাতীয় স্বার্থের প্রতি অনাস্থা হেতু, স্বার্থপরের ন্যায় দৃষ্ট হইয়া থাকে ; আর গ্রীক, সেই সেইd.বিষয়ে মূলে স্বার্থপর হইলেও, জাতীয়ত্ব পক্ষে নিঃস্বার্থধানের স্তায় দৃষ্ট হয়। পুনশ্চ, হিতব্ৰতে হিন্দুর ক্রিয়াস্থলী সঙ্কীর্ণ হওয়ায়, জাতীয় হিত ও জাতীয় কাৰ্য্যবিষয়ে যে বিপুল কাৰ্য্যধারণা, তাহাতেও হিন্দুপ্রকৃতি অতিশয় ుసా