পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ఇహి హె কৰ্ম্মকাণ্ডের অবশুপালনীয়তা জ্ঞাপন করিয়া থাকেন ; কিন্তু বস্তুতঃ সে কৰ্ম্মকাণ্ড কি, তাহা দেখিতে গেলে, তাহ প্রায়ই এক পিও আতপ চাউলের অন্ন আপনার উদরে এবং আর এক পিণ্ড দেবোদেশে দানের অতিরিক্ত আর কিছুই নহে । এতদতিরিক্তে যাহা কিছু করা যায়, তাহ অবশ্য বলিতে হইবে যে তত্ত্ববিদ্যার সঙ্গে একরূপ লাঠালাঠি করিয়া করা হয়। হিন্দুর তত্ত্ববিদ্যা নিজে কিছু মন্দ নহে, বরং আর সকল জাতির তুলনায়, উহাকে সৰ্ব্বোৎকৰ্ষময়ী বলিলে অত্যুক্তি হয় না। কিন্তু লোকসংসারে সাধারণ হিন্দুর তুল্য তত্ত্ববিদ্যার এমন অবসন্নকারী অর্থকারক ও মৰ্ম্মগ্রাহক আর কোথাও নাই । অর্থগ্রহফলে এরূপ দাড়াইয়াছে যে, ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ এই চারিটি পুরুষাৰ্থ বটে, কিন্তু ইহার মধ্যে মোক্ষই নিত্য, আর তিনটি অস্থায়ী ও অসার ; অতএব বুদ্ধিমান ব্যক্তির প্রধানতঃ মোক্ষলাভেই যত্ন করা উচিত। উৎসল্প-মুখ ভারতে, ফলেও তাহা দাড়াইয়াছে, অথবা তাহারই ফলে ভারত উৎসন্ন-মুখ হইয়াছে। হিন্দুধর্মের আদি ও সত্ববান শিক্ষক যাহারা, তাহদের শিক্ষা প্রকৃত ওরূপ নহে ; তাহাদের শিক্ষা ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ, এ সকলই সমভাবে সঞ্চয় ও সকলেরই সদ্ব্যবহার করিতে শিখ । কিন্তু যে যে লৌকিক ও প্রাক্কতিক কারণসমূহের সমাবেশে ভারতে হিন্দুচরিত্র গঠিত হইয়াছিল, সে সামঞ্জস্ত-সাধক সুশিক্ষা বহুদিন অনুস্থত হইবার কথা নহে। যে ভীতিতে মানবচিত্ত ভারতীয় প্রকৃতিমূৰ্ত্তিদর্শনে প্রথমে আকুলিত হইয়াছিল, সেই ভীতিই কালে দুৰ্দ্দমনীয় মোক্ষের আকাজক্ষায় পরিণত হইয়া মানবকে একমাত্র মোক্ষপ্রয়াসী করিয়াছিল। ধৰ্ম্ম অর্থ কামে এখন জলাঞ্জলি, ঘরে বাহিরে সকল স্থানে একমাত্র মোক্ষই প্রধান প্রয়াস পদার্থ। হিন্দুসন্তান কেবল মনের সাধে মোক্ষের