পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব। २*** করিয়া যাইতেছি –চেষ্টায় আবার ফল কি, অথবা এমায়াময় সংসারে বেশী আড়ম্বর করারই বা প্রয়োজন কি ? পুনঃ, তাহা কয়দিনের জন্ত ? বলিতে কি, বাঞ্ছারাম, এমন অবসন্নকারী বিশ্বাস আর এ জগতে হইতে পারে না ; এবং ইহা মানবকে যতদূর অকৰ্ম্মণ্য করিতে পারে, বোধ করি, তেমন আর এ জগতে কিছুতেই পারে নাই। ইহা কথায় বলিয়া আর কি করিব ? নিত্য নিত্য, প্রতি মুহূৰ্ত্তে, প্রতিজনে, প্রতিবেশিবর্গের মধ্যে ইহার ফল যাহা প্রত্যক্ষ করিয়া আসিতেছি, তাহার উপর আর বর্ণনার অপেক্ষ রাখে কোথায়? আমার নিজ প্রতিবেশিবর্গের মধ্যেই এই অদৃষ্টবাদের চিত্র আরও ভয়ঙ্কর। অনাহারে, অনুচিত ক্রিয়ায়, ইহারা ও ইহাদের আশ্রিত পরিবারবর্গ নিত্য ক্লেশে, নিত্য ধ্বংসমুখে অগ্রসর হইতেছে ; ইহারা স্বচ্ছন্দে দেখিতেছে এবং কি দেখিতেছে তাহাও বুঝিতেছে, তথাপি তাহার প্রতিবিধানের নিমিত্ত কিছুমাত্র যত্নগ্রহণ করিতেছে না। শৃগালকুকুরের জীবন অতিবাহিত করিবে, তাহাও শ্রেয়, তথাপি উপায়ের জন্য ঘরের বাহির হইবে না ; আর আশ্চৰ্য্য, উপায় হাতে তুলিয়া দিলেও তাহা গ্রহণ করিতে চাহে না ! এক অদৃষ্ট দেখাইয়া,উপায় অনুপায়, মুখ দুঃখ, আশা নিরাশা, সকলেরই নিবৃত্তিসাধন করিয়া থাকে। বলিতে কি, দেখিয়া শুনিয়া, উপায়ের অযাচিত সংগ্রাহক এবং দাতা ধিনি, তাহকে বরং অপ্রতিভ হইয়া অধোমুখে ফিরিয়া আসিতে হয়। আশ্চৰ্য্য ! আশ্চর্য্য ! মমুয্যবৃদ্ধি জ্ঞানের আধার হইয়াও এতটা আত্মসংহারক হীনাবস্থায় নামিতে পারে । ঘনিষ্ঠতা প্রযুক্ত আমি যতটুকু স্থানের অন্তঃস্থল পৰ্য্যন্ত দর্শনে এরূপ চিত্র দেখিয়া খেদাম্বিত হইতেছি ; বোধ করি দৃষ্টিচালনা করিলে, সৰ্ব্বত্রই এইরূপ চিত্র প্রত্যেক দর্শকেরই দৃষ্ট্রিপথে পতিত হইবার পক্ষে অসদ্ভাব হইবে না। নিশ্চয়ই বাঞ্ছারাম, ভারত অধঃপতনের শেষ