পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাৰ । २३१ সে সকলের শিক্ষা একমুখী মাত্র ; সুতরাং কেন না তাহাতে নানা অনিষ্টের উৎপাদন হইতে থাকিবে ? ইহাদের শিক্ষা যে কি ভয়ঙ্কর, তাহা দেখ । একে মায়ার শিক্ষণ—এ সংসারে সমস্তই অনিত্য এবং অকিঞ্চিৎকর ; তাহার উপর আবার অদৃষ্ট শিক্ষা দিতেছে যে, কোন মঙ্গলের অয়োজন করিতে বা অমঙ্গলের বেগ ফিরাইতে যাওয়া বৃথা চেষ্টা, যাহা হইবার তাহ অবশুই হইবে। যে দিন ভারতে এরূপ বিকৃত তত্ত্বের প্রথম উদ্ভাবন, সেই দিন হইতেই ভারত উৎসল্লমুখ । উহারই জন্য প্রধানতঃ ভারত উৎসন্ন গিয়াছে, এবং এখনও যাইতেছে। এখনও কি সময় হয় নাই ? বিধাতঃ, এখনও কি কাহাকে পাঠাইবে না, যে এই বেগ ফিরাইয়া অধঃপতিত ভারতকে পুনৰ্ব্বার উৰ্দ্ধমুখ করাইতে সমর্থ হয় ? আসল মায়াবাদ ও অদৃষ্টবাদ হইতে তাহদের বিরুত রূপকে পৃথক করিবার জন্ত, শেষোক্তকে নিয়ে বিকৃত শব্দের দ্বারা বিশেষণযুক্ত করা হইল । ভাল, তোমার এ বিরুত অদৃষ্টবাদে আছে কি ? আইস বাঞ্ছারাম, আমরা এই মুযোগে স্ব স্ব জ্ঞানযোগ মত একটু তাহ দেখিয়া লই। আমি একবার একজন ঘোর অদ্রষ্টবাদীকে দেখিয়াছিলাম। আমি তাহার অদৃষ্ট পড়িয়া বলিলাম, তোমার অদৃষ্টি লেখা আছে যে, আমি তোমাকে এই উচ্চ তট হইতে পদ্মার জলে নিক্ষেপ করিব, আইস তবে তোমাফে ফেলিয়া দিই। তাঁহাতে সে অদৃষ্ট নির্ভর করিতে সম্মত হইতে পারিল না । কেবল ইহা নহে, তদ্রুপভাবাপন্ন অপরাপর বিষয়েতেও অদৃষ্টপাঠে অদৃষ্টবাদী আপন অদৃষ্ট দেখিতে পায় না ; দেখিতে পায় সে কেবল যখন কোন মহৎ বা শ্রম ও কষ্টসাধ্য কাৰ্য্য সে করিতে পারে না বা করিবে না, অথবা যেখানে অলিস্যে গা ভাসান দেওয়ায় বাধা জন্মে। অতএব এ ৰিক্ত