পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ர்ை গ্রীক ও হিন্দু। অদৃষ্টবাদিৰে যে কিছু গোল আছে, তাহা ইহা দ্বারা আপনিই প্রতিপন্ন হইতেছে। বিকৃত অদৃষ্টবাদকে ক্ষণেক স্থগিত রাখিয়া, আগে বিকৃত মায়াবাদের বিষয় একটু আলোচনা করা যাউক ; যেহেতু প্রথমোক্তটি কিয়দংশে শেষোক্তের উপরে নির্ভর করিয়া থাকে। ধৰ্ম্ম ও তত্ত্বগ্রন্থোক্ত মায়াবাদ অতি উন্নত পদার্থ এবং তাহার ব্যাখানভাগও এমন কুটতর যে, অতি প্রশস্ত ও প্রখর বুদ্ধি না হইলে তাহা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারা যায় না । কিন্তু ভারতীয় ঋষিগণও অতিশয় বিচক্ষণ ছিলেন ; তাহাদের বিচক্ষণতার একটা প্রধান পরিচয় এই যে, কে কেমন অধিকারী, কাহার পক্ষে কি উপযুক্ত এবং কোনটাই বা কাহার পক্ষে অধিকারী হইতে পারে, তাহা তাহারা বিলক্ষণ বুঝিতেন এবং সেই জন্যই তাহারা একের পক্ষে বাহ উপকারী, অন্তের পক্ষে—এমন কি তাহার পরিচয় প্রাপ্তি পৰ্য্যস্ত—নিষেধ করিয়া গিয়াছেন। সম্ভবতঃ সেই কারণ হেতু, মায়াবাদেরও আলোচনা ওঁ অনুষ্ঠান এমন সংস্কীর্ণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন যে, সাধারণ সংসারস্থলীতে, সংসারস্থলীর নিজের চেষ্টা ও দোষ ভিন্ন, তাহার প্রবিষ্ট হইবার সম্ভাবনা অতি অল্পই। এই জগৎ ও জগতস্থ বিষয় সমস্ত মায়িক স্বষ্টি, সুতরাং অনিত্য এবং ভ্রমদৃপ্ত বটে, কিন্তু সে অনিত্যতাদি কাহার তুলনায় ?— অনন্ত সচ্চিদানন্দ পুরুষ যিনি র্তাহার । পুনশ্চ, মায়িক সংস্কারের অতীত সত্যাসত্য, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, পাপপুণ্য, স্বর্গ নরক, ইত্যাদি সমস্তই অলীক বলিয়া ব্যাখাত ; কিন্তু বাপু বাঞ্ছারাম, একবার মনে কর দেখি, অনধিকারীর পক্ষে এই সকল কি ভয়ঙ্কর কথা এবং উহা সৰ্ব্বনাশের মুল স্বরূপ হয় কি না ? ঋষিরাও এ কথা না বুঝিতেন এমন