পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oe 3 গ্রীক ও হিন্দু। পাইতেছ না, তথাপি তাহা হইতেছে। তিল তিল করিয়া হইতেছে, অদৃপ্ত ভাবে হইতেছে ; যখন দৃপ্ত হইবে, তখন যদি দেখিবার জন্ত কোন চক্ষু থাকে, সে দেখিতে পাইবে যে, সে কাৰ্য্য কি অদ্ভুত, কি অপূৰ্ব্ব । যদি যুগারম্ভে এবং যুগের অন্তে, তোমারও দেখিবার শক্তি থাকিত, তাহা হইলে তুমিও দেখিতে পাইতে যে, রূপ-বৈচিত্রের কি দারুণ তরঙ্গ কালমূল হইতে আরম্ভ করিয়া কাল-অস্তমুখে ছুটিয়া চলিয়াছে। কাল এবং শক্তির সম্মিলনে রূপের প্রচার। জলবাম্পে সৌরকরসংযোগে মেঘহৃদয়ে ইন্দ্ৰধন্থর সঞ্চার দেখিয়াছ। এরূপ রূপরাশির সঞ্চারও অবিকল তদ্রুপ না হউক, সেই রকমের বটে ;–কিন্তু এ কথা ব্যাখ্যেয় নহে, অমুভবনীয় মাত্র । বিষয় যত গুরুতর ও গাঢ় হয়, ততই তাহা বাক্যের অতীত হইয়া উঠে। সে যাহা হউক, রূপ বস্তুবিশেষের বtহপ্রচার মাত্র, স্বয়ং বস্তু নহে। . অতএব রূপরাশিকে অতিক্রম করিয়া চল, যে বস্তুর উহ8বাহ প্রচার, তাহার অনুসন্ধান কর । কই, দেখিতে পাইলে ?—কাল এবং শক্তির সম্মিলন ভাব। সন্মিলন সম্পূর্ণ বস্তু নহে, সাহচর্য্যে উহা বস্তু । অতএব উহাও অতিক্রম করিয়া আইস, দেখ এখন কি আছে,–কাল এবং শক্তি ! তাঁহাই। এখন বুঝিলে, যাহাঁকে তুমি বাহাজগৎ বলিয়া থাক, তাহা রূপ প্রচার, কালহৃদয়ে শক্ত্যাভাসে এইরূপ প্রচার সংঘটিত হয় ; যাহাকে প্রকৃতি বলিয়া থাক, তাহা শক্তি ; যাহাকে আশ্রয় বলিয়! থাক, তাহা কাল ; যাহাকে আধার বলিয়া থাক,তাহা দেশ ; যাঁহাকে কৰ্ম্ম বা রূপ-বৈচিত্র সংঘটন বলিয়া থাক, তাহ কালসম্মিলনে শক্তির গতিমাত্র । এই কাল ও শক্তি সাঙ্খ্যকারের3হাতে পড়িয়া পুরুষ ও প্রধান ; এবং তন্ত্রকারের হাতে পড়িয়া মহাকাল ও মহাকালীরূপে পরিণত হইয়াছে ।