পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

®ौक७ श्मूि । সেই “যন্ত প্রভাবমতুলং ভগবান অনন্তব্রহ্মাহরণ নহি বক্ত মলং বলঞ্চ” এবস্তুত অনন্ত মহিমাপুর্ণ ইষ্টমূৰ্ত্তি ? সেন্ট আগষ্টিনের উক্তি—“যে বিন্দু বিশ্বচক্রের সর্বত্রই মধ্য-বিন্দুরূপে বিরাজিত, তাহাই ঈশ্বর। বলিতে পার, আমাদের এ বিন্দুও কি সেই মধ্যবিন্দু ? বলিতে না পার, ভাবিয়া দেখ ; যতক্ষণ বলিতে ন। পার, ততক্ষণ এ কথা আর তুলিও না, এ কথা আর কহিও না । এই বিন্দুরূপী মহান মূল হইতে যে কামনাপ্রবাহ ছুটিয়াছে, কামনার সেই প্রবাহ-গুণই মহাশক্তি। এই মহাশক্তির আভাসব্যাপ্তি, মহাকাল। মহাকালের বিস্তার বিকাশে দেশ। মহাশক্তি এই তাহার আত্মাধারভূত মহাকালের সহ সন্মিলনে, তদবলম্বনে বেগবতী হইয়া চলিয়াছে। তবে কি এই জন্তই, তান্ত্রিক ঋষি সকাম ব্রহ্মচৈতন্ত ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর এই ত্রিমূৰ্ত্তির প্রস্থতিরূপে মহাশক্তিকে নির্দেশ করিয়া, তাহাকেই আবার সেই মহেশ্বরের পরিণীতারূপে স্থাপন করিয়া গিয়াছেন ? কি গৃঢ় গুহ, কি দুষ্কর তত্ত্ব ! আৰ্য্য ঋষি ভিন্ন এ গৃঢ় গুহ উদ্ভেদ করিয়া তত্ত্ব উদঘাটন আর কাহার দ্বারা সম্ভব হইতে পারে ? আৰ্য্য ঋষি । পিতৃ দেবতা ! তোমাকে শত শত নমস্কার । কাল অনন্তব্যাপ্ত এবং নিশ্চল । তদবলম্বনে মহাশক্তি প্রবাহিত । অনন্তমূল হইতে সমুদ্ভুত হইয়া, অনন্ত পথে, অনন্ত বেগে, অনন্ত অন্তে ছুটিয়া যাইতেছে। আশ্রয়ভূত কাল অনন্তব্যাপ্ত, সুতরাং দুৰ্দ্দম-গতিতেও অাধাররূপী কালচুতির সম্ভাবনা নাই। এই অনন্ত গতিবশে প্রতিমুহূর্বে, অথচ পূর্ব ও পর মুহূৰ্ত্ত সহ অবিচ্ছিন্ন ভাবে, কাল সহ শক্তির নিত্য নূতন সম্মিলনে, নিরবচ্ছিন্ন নিত্য নূতন রূপ-বৈচিত্রের সঞ্চার । গতির বিরাম নাই, সুতরাং নিত্য নূতন