পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । : ༠༠༢ রূপ-বৈচিত্রেরও বিরাম নাই। এ বিশ্বে যাহা কিছু দেখিতেছ, স্থল নেত্রে যাহা কিছু অবলোকিত হইতেছে, সকলেই সেই শক্তিস্রোতে নিরবচ্ছিন্ন ভাসিয়া যাইতেছে ; ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সকলেই ভাসিয়া যাইতেছে। অথবা তাহাই বা বলি কি জন্ত ? শক্তিস্রোতে তাহার ধারা প্রতিধারা ইত্যাদি মাত্র। ঐ যে বৈঠকের উপরে মুন্দর বাধ৷ হুকাটি দেখিতেছ, ঢাকাই শিল্পকৌশলে একটি স্ফীতগণ্ড ব্যাঘ্র স্থা করিয়া, ছাগ বা মনুষ্যশিশুর অভাবে, একটি কুসুমশিশুর মাথা ছিড়িতে উদ্যত ; ভাবিতেছ যে উহাকে যেমন দিব্য হুকাটি বসাইয়া রাখিয়াছি, উহা তেমনই দিব্য হুকাটি রহিয়াছে ; শক্তিস্রোতের ত কোন চিহ্নই দেখি না, রূপেরই বা পরিবর্তন কই ? কিন্তু নিৰ্ব্বোধ ! তুমি যতই বল, আমি তোমাকে স্পষ্ট করিয়া বলিতেছি যে, তুমি যে সকল দেখিতে না পাইয়া উপহাস করিতেছ, তুমি দেখিতে পাও বা না পাও, তথাপি জানিও, যাহা হইবার তাহা হইয়া যাইতেছে। তুমি যতক্ষণ ধরিয়া এই কয়টি কথা কহিলে, চক্ষু থাকিলে দেখিতে পাইতে যে, ইহারই মধ্যে বৈঠকশোভিত বাস্ত্রবিক্রম সমেত তোমার বাধা হুকাট শক্তিস্রোতে কতদূর ওতপ্নত ভাসিয়া গিয়াছে। তথাপি প্রত্যয় না হয়, আর এক কাৰ্য্য কর। তোমার ঐ বাধা হুকা, যেমন ভাবে আছে, ঠিক তেমনই ভাবে পঞ্চাশ বৎসর ঘরে চাবি দিয়া ফেলিয়া রাখ, একবারও উকি দিয়া দেখিও না । পঞ্চাশ বৎসর পরে ঘর খুলিয়া হুকাটি যেমন অবস্থায় দেখিবে, বলিও ; তখন আবার তোমার সঙ্গে এ বিষয়ের বাক্যালাপ ও বাক্‌চাতুরী করা যাইবে । ফলতঃ এই বিশ্বের প্রতি একবার সযত্নে অবলোকন করিয়া দেখ। পরমাণুটি হইতে বৃহত্তম জ্যোতিষ্কপিণ্ড পৰ্য্যন্ত বিশ্বস্থ খাবতীয় পদার্থ সচল, সকলেই নিরবচ্ছিন্ন গতিবশে অনন্তমুখে ছুটিয়া