পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Оъ о - গ্রীক ও হিন্দু । মহাকালপথে গম্যমান মহাশক্তিবশে আবৰ্ত্তনশীল পদার্থনিকরে, নিরন্তর স্থানান্তর কালান্তর, ও অবস্থান্তর প্রাপ্তিতে তাহীদের নিত্য, নবগুণবিকার উপস্থিত হওয়ায়, নিত্য নবরূপবৈচিত্র সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা হয়। গুণবিকারই লোকনয়নে ধ্বংস বা অসৎ ; এবং রূপ, অস্তিত্ব বা সং । উপরে রূপবৈচিত্রসঞ্চারের যে নিগৃঢ় তত্ত্ব আলোচনা করা গিয়াছে, এরূপেই তাহার আধিভৌতিক ও বহিঃপ্রচার হইয়া থাকে। রূপ সৎ বলিয়াই, রূপ এবং রূপাত্মক যাবতীয় বিষয় অনন্ত সুন্দরের সৌন্দর্য্যাংশ ও শুভাংশ বলিয়া কীৰ্ত্তিত হয় । ‘রূপ’ এবং ‘বিকার’, এই ভাবদ্বয়, ইহারাই আধিভৌতিক জগতে বিষয়ভেদে ও বস্তুভেদে, শুভাশুভ, আলোক অন্ধকার, দিবারাত্র, বসন্ত শিশির, উন্নতি অবনতি ইত্যাদি। বাঞ্ছারাম, তুমি যে মনোহর বসন্ত সমৃদ্ধিপরিপূরিত প্রদোষকাল দেখিয়া সুখানুভব করিতে করিতে, আবার পরক্ষণেই তদ্বিপরীত মেখ বিদ্যুৎ বজ্ৰঘট ঝড় জল দেখিয়া ভয়ে অভিভূত হইয়া কঁাপিতেছিলে, তাহা কি ? তোমার সেই সুখময় প্রদোষ এবং তাহার পরক্ষণেই তন্নাশক সেই ঝড় জল, ইহার এই সৰ্ব্বজনীন অসৎ ও সতের প্রকারান্তর অভিনয়মাত্র ; বস্তুভেদে, বিষয়ভেদে ভিন্নরূপ দেখাইতেছিল, তাই তাহাকে চিনিতে পার নাই । যদি অজ্ঞানতা-বশতঃ তখন চিনিতে না পারিয়া থাক ; ভাল, এখন একবার দেখ দেখি চিনিতে পার কি না । কিন্তু আর এক তামাসা দেখিয়াছ এবং উপরেও তাহ আভাসিত করিয়াছি যে, যে অসংকে, যে অশুভ বা যে অবনতিকে, আমরা সাধারণতঃ অসৎ বলিয়া বিবেচনা করিতেছি ; এবং যাহা স্মরণ করিয়া তজ্জন্ত অনুতাপ-বশতঃ মোহমুগ্ধ হইয়া থাকি, কখন কখন বা কতই বিলাপ-ব্যাকুলিত হই ; তাহ পরিণামে সত্যসত্যই তদ্রুপ বিলাপ বা অনুতাপের বিষয় নহে। যেহেতু